এবার এসএসসিতে পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩
এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ড থেকে মোট ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। এর মধ্যে ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন ছাত্র ও ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী। এবার মোট কেন্দ্র সংখ্যা ৩ হাজার ৮১০টি। মোট প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৯৮টি। গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় মনিটরিং ও আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২২ সালের তুলনায় এ বছর মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে ছাত্রী পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন, বাকিরা ছাত্র। গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিষ্ঠানের সংখা বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি। ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালের বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী সংখ্যা বেড়েছে ৩৭ হাজার ৩২০ জন।
পরীক্ষার সার্বিক তথ্য তুলে তুলে মন্ত্রী জানান, এবছর এসএসসির সাধারণ ৯টি শিক্ষাবোর্ডে ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭০ জন এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪০৫ জন। ৯টি বোর্ডে মোট ১৭ হাজার ৭৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্র সংখ্যা ২ হাজার ২৪৪টি।
মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল স্তরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৯৫ হাজার ১২১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার ১২৮ জন। এসএসসি (ভোকেশনাল) এবং দাখিল (ভোকেশনাল) মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৯৭ হাজার ৩৩৪ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৩০ হাজার ৪৩৩ জন।
দেশের বাহিরে ৮ কেন্দ্র পরীক্ষার্থী ৩৭৪ জন : চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের বাইরে ৮টি কেন্দ্র এবার মোট ৩৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে জেদ্দায় ৮৯ জন, রিয়াদে ৫১ জন, ত্রিপলীতে ৪ জন, দোহায় ৭৭ জন, আবুধাবীতে ৪১ জন, দুবাইয়ে ২৭ জন, বাহরাইনে ৬৫ জন, সাহাম ওমানের ২০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা (পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক, মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন টিম, বোর্ডের পরিদর্শন টিম, জেলা ও উপজেলা পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
শ্রুতি লেখক পাবেন বিশেষ চাহিদা সম্পূর্ণ পরীক্ষার্থীরা : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, প্রতিবারের মতো এবারও বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীদের জন্য নেওয়া বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন পরীক্ষার্থী (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং প্রবণ পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশিত হবে : ২০২৩ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষায় নেওয়া হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলো তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৪ মে শুরু হয়ে ৩০ মে’র মধ্যে শেষ করতে হবে। মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল থেকে ২৫ মে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ মে শুরু হয়ে ৩ জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২০ মে থেকে ৪ জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকরা নেওয়া ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট হবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন