এবার ছাত্রলীগ নেতাকে ‘শিবির’ বলে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ!
এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে ‘শিবির’ অভিযুক্ত করে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রলীগ।
রোববার রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পদধারী ওই নেতার নাম আবু তাহের। সংগঠনে গ্রুপিং এর জের ধরে তার বিরুদ্ধে শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে অভিযোগ শাখা ছাত্রলীগের একটি অংশের।
তবে হল ছাত্রলীগ সভাপতির দাবি, এ ধরনের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। তাহেরের শিবির সংশ্লিষ্টতার তথ্য তাদের কাছে আছে। এদিকে তানভীর আজাদ নামে তাহেরের এক বন্ধুকেও ছাত্রদল করার অভিযোগে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এই দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনার বিষয়ে ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী জানায়, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হল ছাত্রলীগের অন্তত ১০-১৫ জন নেতা একত্র হয়ে তাহেরকে ডাকেন। তারা শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনেন তাহেরের বিরুদ্ধে। সে এ অভিযোগ অস্বীকার করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপসম্পাদক মিজানুর রহমান পিকুল, ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক নাহিদ হাসান সুজন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা তালুকদার শরীফুল ইসলাম, সোলায়মান খান সুজন ও হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাজমুল হাসান প্রমুখ।
পরে সেখানে তাহেরকে মারধর করে রাত আড়াইটার দিকে প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। এদিকে তাহেরর সঙ্গে দেখা করতে এলে তার বন্ধু তানভীরকেও আটক করে প্রক্টরিয়াল টিমে দেয়া হয়।
ছাত্রলীগের একটি অংশের অভিযোগ, হলে গ্রুপিং এর জের ধরেই এ ঘটনা ঘটে। আবু তাহের হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেলের অনুসারী ছিল। সে তাহসানের দিক থেকে হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পায়। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হলে সে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে রাজনীতি করে আসছিল।
অন্যদিকে তাহসান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে রাজনীতি করছেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তার বিরুদ্ধে শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে হল ছাত্রলীগ সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখ তাহের পদত্যাগ করে। তখন আমাদের সন্দেহ হলে খোঁজখবর নিতে থাকি এবং তার শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই। এরই সূত্র ধরে তাকে ধরা হয়। এখানে কোনো রাজনৈতিক কোন্দলের ঘটনা নেই। তবে এ ঘটনা নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, দুই ছাত্রকে প্রক্টরিয়াল টিম থানায় দিয়েছে। এখনো তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন