এবার বরখাস্ত হচ্ছেন ইরফান সেলিম
বরখাস্ত হচ্ছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান আহমেদ সেলিম। সোমবার অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে দুই মামলায় ৬ মাস করে ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করতে হয়। এরপর স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ (সংশোধীত ২০১১) অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধের জন্য মেয়র বা কাউন্সিলররা বরখাস্ত হয়ে থাকেন। এ আইনের ১২ ধারায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের বরখাস্ত করার বিষয়ে বলা হয়েছে।
উপ-ধারা ১২ (১) বলা হয়েছে, যে কোন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলরের অপসারণের জন্য ধারা ১৩ এর অধীন কার্যক্রম আরম্ভ হয়েছে। অথবা তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগ আদালত কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে ক্ষেত্রমত, মেয়র বা কোন কাউন্সিলরকে বরখাস্ত করতে পারবে।
এ আইনের ১৩ ধারায় মেয়র এবং কাউন্সিলরগণের অপসারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে। ১৩ এর উপধারা ১ এর খ-তে বলা হয়েছে, নৈতিক স্খলজনিত অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হলে তিনি অপসারিত হবেন। ১৩ এর ঘ-তে বলা হয়েছে, অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলেও তিনি অপসারিত হবেন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘মেয়র বা কাউন্সিলররা আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হলে তিনি বরখাস্ত হন। তবে এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে হলে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন থেকে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হয়।’ একই বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, ‘কোনো মেয়র বা কাউন্সিলর দণ্ডপ্রাপ্ত হলে তিনি বরখাস্ত হন। সেটা কার্যকর করতে হলে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগে সেটা লিখিতভাবে জানাতে হয়।’-যুগান্তর
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন