এবার সারা দেশে পাঁচ ধাপে উপজেলা নির্বাচন
এবার সারা দেশে পাঁচ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
মঙ্গলবার কমিশনের ৪৩তম সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, সারা দেশের উপজেলা পরিষদগুলোতে পাঁচ ধাপে নিবাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৬৯টি উপজেলায় আগামী ৮ বা ৯ ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। একই মাসের ভিন্ন তারিখে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভায় এসব নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হবে। বাকি উপজেলাগুলোতে রোজার পর ভোটগ্রহণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।
ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদ এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
যদিও এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এসব স্থানীয় সরকারের নির্বাচন। মে মাসে সবকটি উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। এর আগে নির্বাচন করতে হবে। এ নির্বাচনে কোন দল আসল কী, আসল না তা বিবেচ্য বিষয় নয়।
প্রধান নিবাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার বিকালে কমিশনের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিন ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে অন্যান্য আলোচনার মধ্যে পহেলা মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপন, বিভিন্ন সাধারণ ও উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়।
পাঁচ ধাপে উপজেলা নির্বাচন
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেটের কয়েকটি জেলার ৬৯টি উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ৮ বা ৯ মার্চ।
জেলাগুলো হচ্ছে- পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ।
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলাগুলোতে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ এবং চতুথ ধাপে ৩১ মাচ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বাকি উপজেলাগুলোতে রোজার ঈদের পর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও জানা গেছে, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভায় এসব উপজেলা নির্বাচনের তফসিল নির্ধারণ করা হবে।
জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ১৬টি জেলার ১২৫টি উপজেলা, তৃতীয় ধাপে খুলনা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের ১৭ জেলার ১১১টি এবং চতুথ ধাপে বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম বিভাগের ২৪টি জেলার ১৫৯টি উপজেলার ভোটগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে কার্যপত্রে। তবে এ বিষয়টি কমিশনের পরবর্তী সভায় চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন