এবার সড়কে অবস্থান নিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক-আ’লীগ কর্মীরা
নিরাপদ সড়কের দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে রাজপথে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের পর এবার সড়কে নেমেছেন পরিবহন শ্রমিক ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
রোববার ঢাকার মিরপুর ১ নম্বর সেকশনে কয়েকশ পরিবহন শ্রমিক অবস্থান নিয়েছেন।
সনি সিনেমা হলের সামনে তাদের সঙ্গে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগেরও কয়েকশ নেতাকর্মী।
বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর ও স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে সকাল ১০টার দিকে সনি সিনেমা হলের সামনে জড়ো হন তারা।
মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরেও সরকারদলীয় কয়েকশ নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছেন। এ ছাড়া মোটরসাইকেলে করে মহড়া দিচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দুপুরে একদল যুবককে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে। একই ধরনের মহড়া দেখা গেছে শ্যামলীতেও।
দুপর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সামনেও ক্ষমতাসীন দলের প্রায় দুশ নেতাকর্মীকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এ সময় এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলাও করেছে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে তা প্রতিরোধে তাদের এ কর্মসূচি।
দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হক হ্যাপি বলেন, সাধারণ ছাত্রদের যে প্রতিবাদ, তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের সব দাবি তিনি মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, তার পরও শিক্ষাঙ্গনকে অশান্ত করার জন্য যারা রাজপথে অরাজকতা করছেন, দেশে অরাজকতা করছেন, তাদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি।
গত ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে দুই কলেজ শিক্ষার্থী বাসচাপায় মারা গেলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। পর দিন থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিলে অচল হয়ে পড়ে রাজধানীর সড়ক।
শিক্ষার্থীরা গাড়ির ও চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা করতে থাকেন, তা না পেলে গাড়ি আটকে দিচ্ছিলেন। আন্দোলনের মধ্য থেকে ওঠা ৯টি দাবি পূরণের ঘোষণা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানায় সরকার।
তার পরও সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের মধ্যে শনিবার কয়েকটি স্থানে তাদের ওপর হামলা হয়, যা সরকার-সমর্থক সংগঠনগুলো ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পাল্টায় শুক্রবার থেকে সারা দেশে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
আজও ঢাকার সড়কে সরকারি সংস্থা বিআরটিসির বাস ছাড়া অন্য কোনো বাস চলছে না বলে দুর্ভোগ কাটেনি রাজধানীবাসীর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন