এবারের বিশ্বকাপেও মুখোমুখি ভারত-বাংলাদেশ

একসময় ক্রিকেটে উত্তেজনাময় ম্যাচ হিসেবে ধরে নেয়া হতো পাক-ভারত ম্যাচকে।

তবে তেমনটি আর নেই। পাকিস্তানের জায়গা দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ-ভারত লড়াই মানেই এখন অন্যরকম উত্তেজনা।

আর সেই লড়াইটা যদি হয় বিশ্বকাপের মাঠে তবে তো কথাই নেই!

বলে বলে থাকে টান টান উত্তেজনা। অবশ্য খেলার দিনকয়েক আগে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় চলতে থাকে। নানা মুখরোচক শব্দের ফুলঝুড়িতে ভরে ওঠে ফেসবুক, টুইটার।

অনেকে ট্রলড, স্যাটায়ার নিয়ে মুখিয়ে থাকেন।

গণমাধ্যমেও এ নিয়ে চলে বিস্তর গবেষণা।

ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ যেন অলিখিত কোনো ফাইনাল।

আর এই উত্তেজনাময় ম্যাচ গত তিন বিশ্বকাপেই দেখা গেছে। তিনটি আসরেই বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছে ভারত।

ঘটনাটি ২০০৭ সালের।

চ্যাম্পিয়নের লক্ষ্য নিয়ে আসা ভারত গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশের সঙ্গে হেরে।

সেবার তরুণ ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল ও ম্যাচসেরা মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছে হেরেছিল দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।

ওই ম্যাচ থেকেই বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ক্রিকেট দুনিয়ার হাইভোল্টেজ ম্যাচে পরিণত হয়।

২০০৭ সালের ক্ষত পূরণে ২০১১ বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পায় ধোনিরা।

২০১৫ বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচটি নিয়ে এখনও বির্তক চলছে।

সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গে দেখা হয় ধোনিবাহিনীর।

আম্পায়ারদের কয়েকটি ডিসিশন বাংলাদেশের বিপক্ষে চলে যায় সেই ম্যাচে, ফলাফল হেরে যায় মাশরাফিরা।

আসছে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ। এবারও ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ।

তবে মূল আসরের আগেই প্রস্তুতিপর্বে টাইগারদের দেখা হবে কোহলিদের সঙ্গে।

একনজরে দেখে নেয়া যাক বিশ্বকাপে বাংলাদেশ বনাম ভারতের পরিসংখ্যান:

ফল

২০০৭ : বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী, ম্যাচসেরা মাশরাফি বিন মর্তুজা

২০১১ : ভারত ৮৭ রানে জয়ী, ম্যাচসেরা বীরেন্দ্রর শেবাগ

২০১৫ : ভারত ১০৯ রানে জয়ী, ম্যাচসেরা রোহিত শর্মা

ব্যাটিং

২০১১: ভারতের ৩৭০/৪ সংগ্রহ বিশ্বকাপে দুই দলের সর্বোচ্চ

২০০৭: ভারতের ১৯১/১০ সংগ্রহ বিশ্বকাপে দুই দলের সর্বনিন্ম

বীরেন্দ্রর শেবাগের ১৭৭ রান দুই দলের কোনো ব্যাটসম্যানের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ।

বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে মোট সেঞ্চুরির সংখ্যা। তিনটিই এসেছে ভারতীয় ব্যাটসম্যান থেকে।

২০১১: বীরেন্দ শেবাগ (১৭৫ রান),

২০১১: বিরাট কোহলি (১০০)

২০১৫: রোহিত শর্মা ( ১৩৭)।

বোলিং

ভারতীয় বলার মুনাফ প্যাটেলের নেয়া ৬ উইকেট বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ।

২০০৭: মাশরাফি বিন মর্তুজার ৪/৩৮ বোলিং ফিগার দুই দলের মধ্যে সেরা।

উইকেটকিপিং

মহেন্দ্র সিং ধোনির করা ৮ ডিসমিসাল সর্বোচ্চ।

ফিল্ডিং

বাংলাদেশের আবদুর রাজ্জাক ও আফতাব আহমেদ এবং ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও মোহাম্মদ শামির ২টি করে ক্যাচ বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ লড়াইয়ে ২টি করে ক্যাচ দুই দলের লড়াইয়ে কোনো ফিল্ডারের সর্বোচ্চ।