এমপি আনার হত্যাকাণ্ড নিয়ে নতুন যে তথ্য দিলো ডিবি
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেফতার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধারে তাকে নিয়ে অভিযানে যেতে চায় ডিবি পুলিশ।
সোমবার আদালতে দেয়া ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ঘাতক শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে বাবুর হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ ও এসএমএস প্রদানের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত মোবাইল সেটগুলোতে ভিকটিম আনোয়ারুল আজিম আনার অপহরণ ও হত্যা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে। মোবাইল সেটগুলো কোন কোন স্থানে ফেলেছে সেই স্থান নির্ধারণসহ, মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত মোবাইল সেটগুলো উদ্ধার করার জন্য বাবুকে সঙ্গে নিয়ে ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করার জন্য ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড প্রয়োজন।
আবেদনে আরও বলা হয়, ১৬ মে রাতে কাজী কামাল আহমেদ বাবু ও গ্যাস বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে অপহরণ ও হত্যা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলে।
এছাড়াও ১৭ মে হতে ১৯ মে পর্যন্ত শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে কাজী কামাল আহমেদ বাবুর হোয়াটস অ্যাপে যোগাযোগ হয়।
শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করার মোবাইল সেটগুলো কোথায় এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাবু জানায়, মোবাইল সেট ৩ টির মধ্যে ২ টি গাঙ্গুলী হোটেলের পিছনের পুকুরে এবং ১ টি স্টেডিয়ামের পূর্ব পার্শ্বের পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়।
এর আগে ৯ জুন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ১৩ জুন এ মামলায় গ্রেফতার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
তারও আগে গত ২৩ মে সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও সিলাস্তি রহমানকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। দুই দফায় তাদের ১৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তারা তিনজনই ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজীম।
পরে এ ঘটনায় ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন