এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পরীক্ষাগুলো (এসএসসি-এইচএসসি) নিতে চাই। সময়মতো হবে না এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারেনি। আমরা একটা আভাস দিয়েছি বছরের মাঝামাঝি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তারিখ নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে আশা করছি, পরীক্ষার তারিখ দুই-তিন মাস আগে বলতে পারব। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকলে সময় পেছাবে। ’
এ সময় সবাইকে গুজবে কান না দিতেও পরামর্শ দেন দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা কখন হবে, কীভাবে হবে সব জানিয়ে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আমরা যা বলব সেটাই বিশ্বাস করবেন। ইউটিউবে বা ফেসবুকে কে কি বললো এসব গুজবে কান দিবেন না। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কথা শুনবেন। তাহলে সঠিক তথ্য পাবেন।’
যদিও সবসময় আগে থেকেই জানা থাকে কখন এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে। কিন্তু এবার অনেক আগে জানানো সম্ভব হবে না বলেও জানান দীপু মনি। তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি কখন কোন পর্যায়ে থাকবে আমরা কেউ জানি না। যদি পরিস্থিতি খুব বেশি অনুকূলে না থাকে তখন তো আমাদের করার কিছুই থাকবে না। যদি পরিস্থিতি আমাদের হাতে থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা পরীক্ষাগুলো নেবো।’
‘শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন যাতে কম ব্যাহত হয়, তারা যাতে হতাশায় না ভুগে সেদিকটা মাথায় রেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নেবো’, যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনই বন্ধ হবে না বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করছি না। আমরা এ মাসের মধ্যেই সব শিক্ষার্থীর টিকার প্রথম ডোজ সম্পন্ন করব। এটি কীভাবে করা যায় সেটি নিয়ে আগামীকাল আবার বৈঠক করব। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আগামী সপ্তাহে আবার বৈঠক করব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাসে পাঠদান চলছে এবং এটি ধারাবাহিকভাবে চলবে।’
শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দেশে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী মোট শিক্ষার্থী ১ কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৩২২ জন। তাদের মধ্যে টিকা পেয়েছে ৪০ লাখ ৩২ হাজার ৫৬৯ জন। শতকরা ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছে। টিকা নেওয়া বাকি আছে ৭৫ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৩ জনের।
দীপু মনি জানান, জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শেষ করার চেষ্টা চলছে। ৩৯৭ উপজেলায় ১৫ জানুয়ারির মধ্যে, ৩ উপজেলায় ১৭ জানুয়ারি, ৫৬ উপজেলায় ২০ জানুয়ারি, ১৫ উপজেলায় ২২ জানুয়ারি, ৩৫ উপজেলায় ২৫ জানুয়ারি এবং ১১ উপজেলায় ৩১ জানুয়ারির মধ্যে টিকাদান সম্পন্ন করতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন