ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ায় আমাকে হয়রানি : জাফরুল্লাহ
বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলোর জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ায় তাকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ কারণেই তার প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং একের পর এক মামলা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাফরুল্লাহ এই অভিযোগ করেন।
সম্প্রতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম রূপকারের ভূমিকা পালন করেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে তাকে এই জোটের নেতা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে গণভবনে যে সংলাপ হয়েছে তাতেও জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
জোট গঠন হওয়ার পরপরই একটি টেলিভিশন টক শোতে সেনাপ্রধান নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়েন জাফরুল্লাহ। পরে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাও হয়।
এদিকে সাভারে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গড়া প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া তার বিরুদ্ধে পুকুরের মাছ চুরি, জায়গা দখল, চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি মামলাও হয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে র্যাবের অভিযান ছিল পুরো সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মতো। আমি ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত হওয়ার ফলে এই ধরনের কার্যক্রম চলছে।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে যে হামলা-মামলা চলছে তাতে কি প্রধানমন্ত্রী উপকৃত হচ্ছেন। এতে প্রধানমন্ত্রীকে তারা বিপদে ফেলছে।’
আপনার জন্য প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনি সরে যাবেন কি না এমন প্রশ্নে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমি ১০ বছর আগেই অবসর নিয়ে সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ঢাকায় চলে এসেছি। আমি ট্রাস্টি বোর্ডের অবৈতনিক একজন সদস্য মাত্র।’
এর আগে সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা, দখল এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নামে একের পর মামলার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারপারসন অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন