ওইসিডির পূর্বাভাস, ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি আবার সংকুচিত হবে
করোনার সময় ২০২০ সালে উন্নত অর্থনীতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকুচিত হয়েছিল যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি।
তারা সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতে শুরু হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। যুদ্ধের জেরে হুহু করে বাড়ে জ্বালানি তেলের দাম।
পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে যুক্তরাজ্য জ্বালানিতে বড় অঙ্কের ভর্তুকি দেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু তাতেও লাভ হচ্ছে না। ধনী দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো–অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওএসডি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলেছে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হবে যুক্তরাজ্য। সাতটি ধনী দেশ, অর্থাৎ জি–৭ গ্রুপের মধ্যে আগামী বছর সবচেয়ে বেশি সংকুচিত হবে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি।
বিবিসির সংবাদে ওইসিডিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় অর্থনীতি আগামী বছর দুর্বল হবে, তবে যুক্তরাজ্য ছাড়া বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে শুধু জার্মানির জিডিপি সংকুচিত হবে বলে তারা আশঙ্কা করছে। সামগ্রিকভাবে ২০২৩ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার যথেষ্টই কমবে বলে ওইসিডির পূর্বাভাস।
কিছুদিন আগে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক বলেন, বিশ্বের উন্নত অর্থনীতিগুলো আগামী বছর গতি হারাবে। অনেক দেশ মন্দার কবলে পড়বে, কিন্তু সে তুলনায় উন্নয়নশীল দেশগুলো ভালো করবে। ওইসিডি বলছে, এই উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলোর প্রবৃদ্ধির জেরে আগামী বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ২ দশমিক ২ শতাংশ। করোনার সময় সামগ্রিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল উন্নয়নশীল দেশগুলো। অর্থাৎ তখনো সবাই সমানভাবে আক্রান্ত হয়নি, এবারও সেই ধারা দেখা যাচ্ছে।
ওইসিডি বলছে, ইউরোপীয় দেশগুলোই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সবচেয়ে ভুক্তভোগী। ওইসিডির পূর্বাভাস, জি–৭–ভুক্ত দেশগুলো, অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও জাপানের অর্থনীতি আগামী বছর দুর্বল হবে। তবে এদের মধ্যে শুধু যুক্তরাজ্য ও জার্মানির অর্থনীতি সংকুচিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি সংকুচিত হবে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে তাদের প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।
এর বিপরীতে গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের অফিস ফল বাজেট রেসপনসিবিলিটির পূর্বাভাস, আগামী বছর যুক্তরাজ্যের জিডিপি সংকোচন হবে ১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। তারা আরও বলে, জার্মানির সংকোচনের হার দাঁড়াবে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।
অন্যদিকে জি–২০–ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়া এখন বড় ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে আছে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের সংকোচনের হার যুক্তরাজ্যের চেয়েও বেশি হবে। ওইসিডির পূর্বাভাস, রাশিয়ার সংকোচনের হার দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন