কক্সবাজার কারাগারে হাজতির মৃত্যুতে বন্দিদের বিক্ষোভ ও অনশন

কক্সবাজার জেলা কারাগারে এক রোহিঙ্গা হাজতির মৃত্যুর ঘটনায় অন্য রোহিঙ্গা বন্দিরা কারাগারের ভেতর বিক্ষোভ ও অনশন করেছেন। এ ঘটনায় এক কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম থেকে ডিআইজি (প্রিজন) আলতাফ হোসেন কক্সবাজার এসেছেন বলে কারা সূত্রে জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, গত ৪ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে জাফর আলম (২৩) নামের এক হাজতি কারারক্ষীর লাঠির আঘাতে মারা যান বলে অভিযোগ রোহিঙ্গা বন্দিদের। এ নিয়ে কারাগারে আটক রোহিঙ্গারা শনিবার বিক্ষোভ করে। শাহাদাত হোসেন নামের এক রক্ষীর মারধরে ওই রোহিঙ্গা হাজতির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ অন্য রোহিঙ্গা বন্দিদের। ওই রক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রোহিঙ্গা বন্দিরা শনিবার দুপুরে খাবার নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক এম শাহ আলম খান গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে দুই রোহিঙ্গা হাজতি নিজেদের মধ্যে মারামারিতে লিপ্ত হলে কারারক্ষী শাহাদাত পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে যান। এ সময় রক্ষীর মারধরে হয়তো বা রোহিঙ্গা জাফর সামান্য আহত হয়ে থাকতে পারেন। তাঁকে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।’

তবে ওই রোহিঙ্গা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে বলে দাবি করে তত্ত্বাবধায়ক বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে রোহিঙ্গার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবু রোহিঙ্গাদের দাবির কারণে রক্ষী শাহাদাতের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।

বিভাগীয় মামলা করায় রোহিঙ্গারা শান্ত হয়। ওই হাজতি জাফর আলম একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বলে জানান তত্ত্বাবধায়ক। কারারক্ষী শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আসিকুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। কক্সবাজারের জেল সুপার এম শাহ আলম খান বলেন, ‘ডিআইজি প্রিজন এসেছেন নিয়মিত পরিদর্শনে।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজার জেলা কারাগারে লাগামহীন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জেল কোড ভেঙে জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খান কারা এরিয়ায় ১৭ টি গরু লালন পালন। এসব গরু দেখা শোনার জন্য নিয়োজিত করলেন দুই কারারক্ষী। সরকারি বিদ্যুৎ খরচে আবার গরুর গোয়ালে লাগানো হয়েছে ৮টি সিলিং ফ্যান। গো খাদ্যের যোগান দিচ্ছেন কারাগারের উদ্দিষ্ট খাবার। এমনকি ১৭ টি গরুর দুধ জেল খানার ভেতরে বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৩০০ টাকা দরে এমন অভিযোগ ছিলো তার বিরুদ্ধে।