কক্সবাজারের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট হয়ে সেন্টমার্টিন যাবে পর্যটকবাহী জাহাজ
অবশেষে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচলের পয়েন্ট নির্ধারণ হয়েছে। কক্সবাজার পৌরসভার নুনিয়ারছরা বিআইডব্লিউটিএ ঘাট দিয়ে যাত্রী ওঠানামার সিদ্ধান্ত দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত সমন্বয় কমিটি।
চলতি শীত মৌসুমে প্রবালদ্বীপে যেতে প্রথম অনুমতি পাওয়া পর্যটকবাহী জাহাজ ‘কেয়ারি সিন্দাবাদ’ এ ঘাট দিয়ে চাইলে যেকোনো সময় যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সেন্টমার্টিনে প্রথম জাহাজ চলাচল করবে বলে প্রচার পেলেও এটি চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ।
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রচার পাওয়ার পর সব জায়গা থেকে ফোন করে কোয়েরি করেছেন অসংখ্যজন। কিন্তু টিকিট কাটেননি কেউ। এজন্য বৃহস্পতিবার জাহাজ যাবে কিনা এখনো ফিক্সড নয়।’
কক্সবাজার সদরের ইউএনও নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে গঠন করা কমিটি বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে বৈঠক করেছে। কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া দায়িত্বশীলদের সঙ্গে পর্যটন সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের অনেককে সংযুক্ত করা হয়েছে। সবার সমন্বয়ে বৈঠক করে উপস্থিতিদের মতামতের ভিত্তিতে পৌরসভার নুনিয়ারছরা বিআইডব্লিউটিএ ঘাট দিয়ে যাত্রী ওঠানামার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে বিকেলে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, সেন্টমার্টিনগামী এমবি বারো আউলিয়া জাহাজ কর্তৃপক্ষ প্রচার করেছে, ১ ডিসেম্বর পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে মৌসুমের প্রথম জাহাজ যাবে। এক হাজার টিকিটও অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে। পর্যটকদের নিরাপদে সেন্টমার্টিনে পৌঁছাতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মেরিন ড্রাইভের ইনানী নৌবাহিনীর জেটি থেকেই তাদের জাহাজ ছাড়ার প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। ব্যাটে-বলে এক হলে ওইদিন পর্যটকরা সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যেতে পারবেন।
এ বিষয়ে সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ইউএনও নীলুফা বলেন, প্রশাসনিকভাবে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচলের অনুমোদিত পয়েন্ট পরীক্ষিত বিআইডব্লিউটিএ ঘাট। এটা ছাড়া অন্য কোথা কোনো জায়গা থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতির বিষয়ে আমাদের জানা নেই।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, পর্যটকবাহী কয়েকটি জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া আছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে করে দেওয়া যৌথ কমিটির সভায় পয়েন্ট নির্ধারণ যেখানে হয়েছে সেখান থেকেই যাবে জাহাজ।
সেন্টমার্টিনে যাওয়া পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজ নিয়ন্ত্রণে ২০ নভেম্বর যৌথ কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে পর্যটকদের নিবন্ধনসহ নানা বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে এবং তা দেখভাল করবে এই যৌথ কমিটি।
মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান সই করা এক আদেশে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কক্সবাজার সদর ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)। সদস্যসচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক।
সদস্য হিসেবে রয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের প্রতিনিধিরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন