কতটা নিরাপদ প্যাটার্ন লক!
স্মার্টফোনে নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে একটি স্ক্রিন প্যাটার্ন লক। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হলেও অনেকটাই এটি নিরাপদ নয় বলে দাবি করছেন গবেষকরা।
ইউএস নেভাল অ্যাকাডেমি ও ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড বাল্টিমোর কাউন্টির নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্যাটার্ন লকটি অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমন, পাসওয়ার্ড বা পাসকোডের চেয়ে অনিরাপদ।
তবে হ্যাকিং বা অনান্য নিরাপত্তা ত্রুটির কারণে প্যাটার্ন লক অনিরাপদ নয়, বরং ব্যবহারের সময় কারও চোখে পড়ে যাওয়ার কারণেই এই বিপত্তির শুরু বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। পাঁচ থেকে ছয় ফুট দূরত্বে থাকা কিছু দর্শকের সামনে তারা ফোনের ছয় পয়েন্ট বা তারও বেশি পয়েন্টের প্যাটার্ন লক, পাসওয়ার্ড ও ৬ সংখ্যার পাসকোড সম্বলিত ফোন আনলক করেন।
আনলক করার প্রক্রিয়াটি একবার দেখানোর পর দর্শকদের একই ফোন আনলক করতে দেয়া হলে দুই তৃতীয়াংশ প্যাটার্ন লক করা ফোন তারা আনলক করতে সক্ষম হন। যেখানে পাসকোড দেখে আনলক করতে সমর্থ হন প্রতি ১০ জনে একজন।
গবেষণাটিতে সরাসরি অংশ নেন এক হাজার ১৭৩ স্বেচ্ছাসেবী ও ৯১ জন অনলাইন দর্শক।
নেভাল অ্যাকাডেমির প্রফেসর অ্যাডাম আভিভ বলেন, প্যাটার্ন মনে রাখা প্রতিটি মানুষের সহজাত ধর্ম। অ্যান্ড্রয়েডের প্যাটার্ন দেখতে অনেকটা অক্ষর বা নকশার মত, ফলে মনে রাখা সহজ। সেখানে নম্বর মনে রাখা বেশ কঠিন, বিশেষত র্যান্ডম কিপ্যাড চালু করা থাকলে ডিজিটের অবস্থানও নির্ণয় করা দূরুহ।
তবে আজকাল প্রায় সকল ফোনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক চালু থাকায় প্যাটার্ন বা পিন লকের প্রচলন কিছুটা কমেছে। তবে সেটি সবসময়ই ফোন চালু করার সময় বা আঙ্গুলের ছাপ সঠিকভাবে রিড না হলে ব্যবহার করতেই হয়। সেক্ষেত্রে যাদের প্যাটার্ন ছাড়া চলবেই না তাদের বলা হয়েছে প্যাটার্নের লাইনগুলো অন্তত বন্ধ করে রাখার জন্য। তবে র্যান্ডম কিপ্যাড ও ৬ ডিজিটের পিন কোড ব্যবহার যে কোনো প্যাটার্নের চেয়েই উত্তম।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন