কথাসাহিত্যিক আব্দুর রউফ চৌধুরী সাহিত্য সম্মাননা ২০২৫ পেলেন ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ


দ্রোহী কথাসাহিত্যিক আব্দুর রউফ চৌধুরী সাহিত্য সম্মাননা ২০২৫ পেলেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে হরিকেল সাহিত্য পরিষদ আয়োজিত আব্দুর রউফ চৌধুরী স্মরণোৎসবের দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনীতে এই সাহিত্য সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কথাসাহিত্যিক আহমদ বশীর তাঁর হাতে সাহিত্য সম্মাননার ক্রেস্ট তুলে দেন।
দ্রোহী কথাসাহিত্যিক আব্দুর রউফ চৌধুরী সাহিত্য সম্মাননা ২০২৫ পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করে ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, আমাকে দ্রোহী কথাসাহিত্যিক আব্দুর রউফ চৌধুরী সাহিত্য সম্মাননা প্রদান করায় আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এটি আমার জন্য অনেক সম্মানের।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মুকিদ চৌধুরী বলেন, আপনাদের সকলের অংশগ্রহণে আব্দুর রউফ চৌধুরী স্মরণোৎসব সমৃদ্ধ হয়েছে। আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এখন থেকে নিয়মিতভাবে আমরা এমন আয়োজন করবো। আগামীতে আপনাদের সাথে নিয়ে আমরা দ্রোহী কথাসাহিত্যিক আব্দুর রউফ চৌধুরী জন্ম শতবর্ষ সফলভাবে সম্পন্ন করতে চাই।
উল্লেখ্য সমাপনী আয়োজনের পূর্বে কথাসাহিত্যিক আব্দুর রউফ চৌধুরীর তিন বই- পরদেশে পরবাসী, অনিকেতন ও নতুন দিগন্ত নিয়ে তিন পর্বে প্রবন্ধপাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নাট্যকার, গবেষক ও লেখক ড. মুকিদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও প্রকাশক ওসমান গণি।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার, লোকসংস্কৃতি গবেষক অধ্যাপক জাহান আরা খাতুন, অধ্যাপক মো. ইলিয়াছ বখ্ত চৌধুরী জালাল, অধ্যাপক মো. হারুন মিয়া, দৈনিক যুগভেরীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক অপূর্ব শর্মা, সহযোগী অধ্যাপক গৌতম সরকার, গবেষক ও লেখক ড. শাফিক আফতাব, প্রকাশক আফজল হোসেন, কথাসাহিত্যিক শামস সাইদ, পরিবেশকর্মী তোফাজ্জল সোহেল এবং লেখক ও গবেষক ফয়সাল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন হরিকেল সাহিত্য পরিষদ হবিগঞ্জ এর সদস্য সচিব সিদ্দিকী হারুন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কথাসাহিত্যিক আহমদ বশীর বলেন, দেশাত্মবোধ, মুক্তবুদ্ধি এবং জাতীয়তাবাদী চিন্তা ছাড়া সংস্কৃতির মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। আব্দুর রউফ চৌধুরী সাহিত্য কর্ম পাঠ করলে দেখা যায় বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সংকটের বিভিন্ন সমস্যাকে নিয়ে তিনি প্রবন্ধ, গল্প ও উপন্যাস রচনা করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সাংস্কৃতিক সংকটে তার রচনাবলী পাঠ ও মুল্ল্যায়ন অন্তত প্রয়োজন। তাকে বৃহত্তর পাঠক সমাজের কাছে পরিচিত করে দেওয়ার দ্বায়িত্ব আমাদের সকলের।
মুক্তিযোদ্ধা ও প্রকাশক ওসমান গণি বলেন, দ্রোহী কথাসাহিত্যিক আব্দুর রউফ চৌধুরীর সাহিত্যকর্মকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। তাঁর নামে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং এই ধরনের আয়োজন নিয়মিত করতে হবে।
কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার বলেন, আব্দুর রউফ চৌধুরী শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি এবং ধর্মমীয় অনুসঙ্গে এমন পরিশীলিত সৃষ্টিশীল বাঙালি ছিলেন। আজ তার জন্মস্থান হবিগঞ্জ এ দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান জানাই। আমার দুঃখ লাগে, কষ্টও হয়, এই সৃষ্টিশীল মহত্তম মানুষটিকে চিনতে জানতে আমাদের এত দেরি হলো কেন? আব্দুর রউফ চৌধুরী রচনাবলী যতই পড়ি ততই গভীরে নিমজ্জিত হই এবং বিজ্ঞান ও চিন্তার নতুন নতুন দিগন্ত আবিষ্কার করি।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন