কবি ও গবেষক মাহফুজুর রহমান আখন্দ’র জন্মদিন আজ
২৮ ডিসেম্বর, কবি ও গবেষক মাহফুজুর রহমান আখন্দ এর জন্মদিন। লব্ধপ্রতিষ্ঠ ছড়াকার, কবি, গবেষক, গীতিকার-সুরকার, সাহিত্য সমালোচক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠক ড. আখন্দ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর।
১৯৭২ সালের ২৮ ডিসেম্বরে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর পিতার নাম মোজাফফর রহমান আখন্দ এবং মাতার নাম মর্জিনা বেগম। তিনি ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্ষ্টক্লাশ ফার্ষ্ট হয়ে এম. এ করেছেন; অতঃপর ২০০০ সালে এম. ফিল এবং ২০০৫ সালে পিএইচ.ডি ডিগ্রীও অর্জন করেন। তার বিশটির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ এবং দুই শতাধিক সাধারণ প্রবন্ধ-নিবন্ধ বিভিন্ন গবেষণা জার্নাল, জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক-সাপ্তাহিক পত্রপত্রিকা এবং অনলাইন ম্যাগাজিনসহ সাহিত্যের ছোট কাগজে ছাপা হয়েছে।
তাঁর উল্লেখযোগ্য বিশটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ছড়াগ্রন্থ ধনচে ফুলের নাও, মামদো ভূতের ছাও, স্বপ্নফুলে আগুন, জ্বীন পরী আর ভূতোং, ছড়ামাইট, পদ্মাপাড়ের ছড়া, স্বপ্ন দেখি মানুষ হবার,; অনুকাব্য- তোমার চোখে হরিণমায়া, লিমেরিক- গুমর হলো ফাঁস, শিশুতোষ গল্প- জ্বীনের বাড়ি ভূতের হাড়ি, জলজ রাজার দেশে, গানের বই- হৃদয় বাঁশির সুর, গবেষণাগ্রন্থ- রোহিঙ্গা সমস্যা : বাংলাদেশের দৃষ্টিভংঙ্গী, আরাকানের মুসলমানদের ইতিহাস, সমকালীন বিশ্বে মুসলিম সংখ্যালঘু, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলমানদের ইতিহাস, মতিউর রহমান মল্লিক: জীবন ও সাহিত্য, হিস্টরি অব ইসলাম: প্রফেট মুহাম্মদ স. এন্ড খুলাফায়ি রাশিদীন প্রভৃতি। সমন্বয়, বিজয়ের ছড়া ও আল ইশরাক নামে সাহিত্যের ছোটকাগজ সম্পাদনা করেছেন ইতোপূর্বে। বর্তমানে তার সম্পাদিত শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ছোটকাগজ ‘মোহনা’ এবং ‘শব্দকলা’ ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
তিনি বাংলা একাডেমী ও এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি, বাংলাদেশ ইতিহাস একাডেমীর সদস্য; বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ, ও পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ এর জীবন সদস্য। ইতোপূর্বে তিনি বগুড়ার সমন্বয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, ঢাকা সাহিত্য শতদল এর পরিচালক এবং বাংলাদেশ সংস্কৃতিকেন্দ্রের সহকারী সদস্যসচিব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় লেখক ফোরাম এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাহিত্য সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তাানের পিতা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন