কম্বোডিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনা প্রতিরক্ষা প্রধানের বৈঠক
কম্বোডিয়ায় মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ২২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী উয়ি ফেঙ্গির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। উভয় পক্ষ উত্তেজনার লাগাম টেনে ধরতে এগিয়ে আসার পর এ বৈঠকে মিলিত হলেন। খবর : এএফপি’র সিমরিপে প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠক হচ্ছে গত জুনের পর অস্টিন ও উয়ির মধ্যে প্রথম বৈঠক।
ওই সময় তাদের সাক্ষাতের পর মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করে। তবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক করে এ দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৪ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন। তারা দু’জন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির এই দুই দেশের নেতার মধ্যে এটি ছিল প্রথম সরাসরি আলোচনা।
পরবর্তীতে ব্যাংককে এশিয়া-প্যাসিফিক সম্মেলনে শি ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের মধ্যে বৈঠক হয়। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, হ্যারিস বাইডেনের বার্তা তুলে ধরে বলেন যে ‘আমরা আমাদের দুই দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা বন্ধে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে যোগাযোগের বিভিন্ন লাইন অবশ্যই উন্মুক্ত রাখবো।
শি’র উদ্ধৃতি দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, এ সময় হ্যারিসকে বলা হয় যে বাইডেনের সঙ্গে তার বৈঠক ছিল ‘কৌশলগত ও গঠনমূলক’ এবং গুরুত্বপূর্ণ গাইডলাইন যা পরবর্তী ধাপে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ।
গত আগস্টে পেলোসির তাইপে সফরের জবাবে চীন বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালানোর পর তাইপে তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধির পরিকল্পনা ঘোষণা করে। পেলোসির সফরের এক সপ্তাহ পর চীন তাইওয়ানের জল ও আকাশসীমায় যুদ্ধজাহাজ, ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান পাঠায়। ১৯৯০’র দশকের মাঝামাঝি সময়ের পর এটি ছিল বেইজিংয়ের বৃহত্তম ও আগ্রাসনমূলক সামরিক মহড়া।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন