করমর্দন না করলে নাগরিকত্ব হবে না সুইজারল্যান্ডে
সুইজারল্যান্ডে এক মুসলমান দম্পতির নাগরিকত্বের আবেদন নাকচ করে দেয়া হয়েছে, কারণ তারা বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি হননি।
শুক্রবারের ওই সিদ্ধান্তে বলা হয়, এই দম্পতি নারী-পুরুষের সমতার বিষয়টি গ্রহণ করা এবং সম্মান জানানোয় ব্যর্থ হয়েছে।
সাক্ষাৎকারের সময় বিপরীত লিঙ্গের সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েও হিমশিম খেয়েছে ওই দম্পতি।
হাত মেলাতে রাজি না হওয়ায় সুইডেনে একজন মুসলিম নারীর চাকরির সাক্ষাৎকার বাতিল হয়ে যাওয়ার পর তিনি মামলা করে ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন।
সুইজারল্যান্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, সম্ভাব্য নাগরিকদের অবশ্যই সুইস রীতিনীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে এবং সুইজারল্যান্ডের প্রতি আকর্ষণ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে।
যদিও ওই দম্পতির বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ওই দম্পতি উত্তর আফ্রিকা থেকে এসেছেন।
ওই দম্পতির কাছে তাদের ধর্মের বিষয়ে কিছু জানতে চাওয়া হয়নি বলে কর্তৃপক্ষ বলছেন। তবে তাদের দাবি, ধর্মের কারণে তাদের নাগরিকত্বের আবেদন নাকচ করা হয়নি। সেটা করা হয়েছে লিঙ্গ সমতায় তাদের বিশ্বাসের অভাবের কারণে।
সুইজারল্যান্ডে করমর্দন নিয়ে বিতর্ক এবারই প্রথম ন। এর আগে ২০১৬ সালে একটি সুইস স্কুলের নারী শিক্ষকের সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম দুই ভাই হাত মেলাতে রাজি না হওয়ায় পুরো পরিবারটির অভিবাসন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয় যা তখন বিতর্ক তৈরি করেছিল।
প্রতিবেশী ফ্রান্সে একজন আলজেরীয় নারীর অভিবাসন আবেদন বাতিল করা হয়, কারণ অভিবাসী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একজন কর্মকর্তার সঙ্গে হাত মেলাতে অসম্মতি জানিয়েছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন