করোনা: সীমান্তে কড়াকড়ির মধ্যেই ফ্রান্স-যুক্তরাজ্যে চলাচল শুরু
নতুন ধরনের করোনা শনাক্তের পর যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বন্ধ করে দেয়া সীমান্ত আবার খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স সরকার।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই এই সিদ্ধান্তের আওতায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে দেশ দুটির মধ্যে বিমান, নৌকা এবং ইউরোস্টার ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। এর আগে গেল রোববার (২০ ডিসেম্বর) সীমান্ত বন্ধের ঘোষণার পর প্রায় তিন হাজার লরি আটকা পড়ে কেন্টে।
যুক্তরাজ্যে আটকে পড়া নিজ দেশের নাগরিক ও ফ্রান্স প্রবাসী ব্রিটিশ এবং জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াতকারীদের সুবিধার কথা ভেবে এই সমঝোতায় পৌঁছেছে দু’দেশের সরকার। দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় পণ্য পরবিহনকারী যানবাহনও যাতায়াতের সুবিধা পাবে। তবে তাদের সবার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা করোনা টেস্টের নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে।
৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বহাল রাখতে সম্মত হয়েছে ফ্রান্স সরকার। যদিও পরিবহন বিভাগ ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই উদ্যোগ চালু রাখার পক্ষ মত দিয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে আসা যানবাহনগুলোরও নমুনা পরীক্ষা করবে ফ্রান্স।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা কর্তৃপক্ষ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের আটকে পড়া যাত্রীদের শনাক্তে মোতায়েন করা হবে। আর এজন্য, পিসিআর টেস্টের পরিবর্তে নতুন ধরনের করোনা সনাক্তে র্যাপিড টেস্ট করা হবে এবং ৩০ মিনিটের মধ্যে ফলাফল দেয়া হবে। গাড়ির চালকরা খুদে বার্তার মাধ্যমে করোনা টেস্টের ফলাফল পাবেন। এই বার্তাই তাদেরকে সীমান্ত অতিক্রম করার সময় কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হবে। তবে, যেসব চালক করোনা পজিটিভ শনাক্ত হবেন তাদেরকে কি করা হবে সে বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে এখনো কাজ চলছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্স সরকার।
ক্রিসমাসের আগে যারা ফ্রান্সে ফিরতে চান তাদের জন্য কেন্টে পর্যাপ্ত টেস্ট কিট পাঠানো হয়েছে। তবে নিকটবর্তী বন্দরগুলোতে আটকে পড়া গাড়ির জট কমাতে ক্রিসমাস পর্যন্ত টেস্ট কিট সরবরাহের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বন্দরগুলোতে জট কমাতে পর্যন্ত পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত কেন্ট ভ্রমণ না করতে পণ্য পরিবহনকারী যানবাহনগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্তের পর ৫০টি দেশ এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। তবে, এটা কোন নির্দেশ না। জোটের দেশগুলো নিজ নিজ দেশের স্বার্থ বিবেচনায় এ বিষয়ে করণীয় ঠিক ও নিষেধাজ্ঞা শিথিল ও কঠোর করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’র খবরে জানানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন