কলারোয়ায় মাল্টা চাষে সাফল্য আক্তারুজ্জামানের

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মাল্টা চাষে সাফল্য পাচ্ছেন আক্তারুজ্জামান নামের এক কৃষক। উপজেলার হেলাতলা গ্রামের আক্তারুজ্জামানের মাল্টা বাগানের গাছে গাছে মাল্টার ছড়াছড়ি দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন অন্যরাও। অনেকে সেই বাগান দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন সেখানে।

বাগানের ৬ বছর বয়সী গাছে থোকায় থোকায় মাল্টা ধরায় এ অঞ্চলে মাল্টা কিংবা চায়না কমলা লেবুর মতো বিদেশী ফল চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা।

কৃষক আক্তারুজ্জামান জানান, ৬বিঘা জমিতে বারী মাল্টা বিদেশী ফলের গাছ রোপণ করেন তিনি। ৮ জন কর্মচারি নিয়ে নিয়মিত পরিচর্যা ও দেখভাল করেন ওই ফল বাগান। কেঁচো কম্পোস্ট, ভার্মিকম্পোস্ট, গোবর, জৈবসার আর প্রাকৃতিকভাবে পরিচর্যায় বেড়ে ওঠা বাগানের ওই সব গাছে এখন থোকায় থোকায় ঝুঁলছে বারি-১ জাতের মাল্টা। ফলের ভারে পুরো বাগানের গাছগুলো যেন নুয়ে পড়েছে।

তিনি আরো জানান, মাটিতে গোবর মিশিয়ে রোপণ করা হয় বারি-১ জাতের মাল্টা চারা। রাসয়নিক সার ওষুধ ছাড়াই জৈবসার আর প্রাকৃতিক উপায়ে পরিচর্যা ও নিয়মিত পানি দেওয়ায় ফল আসে গাছগুলোতে। গাছে গাছে এখন ছবির মতো ঝুঁলে আছে পাকা-আধাপাকা মাল্টা। প্রতিটি গাছে অন্তত ২/৩মণ করে মাল্টা লেবুর ফলন হয়েছে বলে তার ধারণা।

এবার দাম একটু কম থাকায় লাভ বেশি না হলেও ৬ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

এদিকে, গাছে গাছে মাল্টা ঝুঁলে থাকার দৃশ্য দেখে স্থানীয়দের অনেকেই অভিভুত হচ্ছেন। চারা গাছ কিংবা মাল্টার কলম সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন
অনেকেই।

উপজেলা কৃষি অফিসার সুভ্রাংশু শেখর দাস বলেন, মাল্টা ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় ফল। কলারোয়ার বিভিন্ন এলাকায়ও এখন কমবেশি মাল্টা ও কমলার চাষ হচ্ছে। কলারোয়ায় মাল্টার নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে অভিভূত হবেন যে কেউ। পুষ্টির চাহিদা পূরণে অন্য পেশার পাশাপাশি শিক্ষিত লোকজনের এ ধরনের ফল চাষে এগিয়ে আসা উচিত।