কলারোয়ায় শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে চলে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার মুজিবুর, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

সকলের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চলে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার মুজিবুর রহমান (৭৫)। সাতক্ষীরার কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চান্দুড়িয়া গ্রামের সদ্যপ্রয়াত এই বীর যোদ্ধাকে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
দাফনের আগে গার্ড অব প্রদান করেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের এসআই সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল।
প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের জাতীয় পতাকায় ঢেকে দেয়া মরদেহের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় প্রদান করেন কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুলী বিশ্বাস।
পরে বাড়ির পাশের আমবাগানে নামাজে জানাজা শেষে মরহুমকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাযায় ইমামতি করেন মরহুমের ভাইপো কেসিজি ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী প্রধান শিক্ষক জামায়াত নেতা আব্দুল গফুর মন্টু।
জানাজা পূর্ব আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গাজী রবিউল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, স্থানীয় চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন, পার্শ্ববর্তী সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন হেলাল, চন্দনপুরের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান আজিজ আহমেদ, সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি, সোনাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান চান্দু, মরহুমের বড়পুত্র মোখলেসুর রহমান তুহিন, মরহুমের বড় জামাতা শিক্ষক আব্দুল লতিফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা খাদিমুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সিদ্দিক, চন্দনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম, এসআই নূর মোহাম্মদ, চান্দুড়িয়ার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তফা ফারুক আনছারী, চন্দনপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন, কাদপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিন মন্টু, কলারোয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জিল্লু, সাংবাদিক এসএম ফারুক হোসেন, সাংবাদিক আতাউর রহমানসহ উপজেলা আ.লীগের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে চান্দুড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন মাস্টার মুজিবুর রহমান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র, ১ কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান উপজেলার সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করেছেন।

মরহুমের ছোটপুত্র মতলেবুর রহমান হিরণ জানান, ‘তিন মাস ধরে হার্ট, কিডনি ও বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ ছিলেন তার পিতা মুজিবুর রহমান।’
তিনি আরো জানান, ‘১৯৬৭ সালে সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তার পিতা মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং ১০৪০। ২০০৬ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।’

ছবিতে..