কাতার ইস্যুতে অস্থির বিশ্ব অর্থনীতি

সৌদি আরবসহ আরব বিশ্বের ৬টি দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ব অর্থনীতি এবং নেতৃবৃন্দ। বিশ্বের বড় বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এর আশু সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্ব অর্থনীতিতে দেখা দেয় অস্থিরতা।

অস্ট্রেলিয়া সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, উপসাগরীয় দেশগুলোর ঐক্য থাকা জরুরী। তাদেরকে নিজেদের মধ্যে বিভেদ দূর করতে হবে। তারা আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিকভাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এক্ষেত্রে কোন প্রভাব পড়লে তা সবার ওপরেই পড়বে।

প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখানোর কথা বলেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাশেমী বলেছেন, শান্তিপূর্ণ পথ, স্বচ্ছ আলোচনা এবং কূটনীতি দিয়েই চলমান সংকটের সমাধান করতে হবে। এই সংকটের দ্বারা কোন দেশই লাভবান হবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।

কাতারের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা গ্রহণ মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে কোন ভূমিকা রাখবে না বলে জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্টের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হামিদ আবু তালেবি।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাব্লাট ক্যবোসগ্লু সংলাপের মধ্য দিয়ে সংকট সমাধানের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, উপসাগরীয় দেশগুলোর সংহতিকে আমারা আমাদের দেশের সংহতি হিসেবে দেখি। দেশগুলোর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় থাকতে পারে কিন্তু আলোচনার মধ্য দিয়েই সমস্যার সমাধান করতে হবে। এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত এবং তার সমাধানে আমরা সব ধরনের সহায়তা দিব।

আর রাশিয়া বলেছে, তাদের স্বার্থেই উপসাগরীয় দেশগুলোর ঐক্য জরুরী। রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি মেসকভ বলেছেন, এই কূটনৈতিক সংকট সন্ত্রাস দমনের যে সংকল্প তাতে কোন প্রভাব ফেলবে না বলে তারা আশাবাদী।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা সরাজ বলেছেন, এই সমস্যা কাতারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে কোন প্রভাব ফেলবে না। আর পাকিস্তান বলেছে, কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার তাদের কোন পরিকল্পনা নেই।

এদিকে এই ঘটনার পর ইতিহাদ এয়ারওয়েজ, ফ্লাইদুবাই, এয়ারএরাবিয়া, দুবাই এমিরেটস কাতারগামী তাদের সকল ফ্লাইট বাতিল করেছে। এছাড়া ঘটনার পর বৈশ্বিক তেলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী রূপ নিয়েছে। কাতারের স্টক মার্কেট ৭.৩ শতাংশ পড়ে গেছে। উপসাগরীয় অন্য দেশগুলোতেও এর প্রভাব পড়েছে। দুবাইয়ের শেয়ার মার্কেট দশমিক ৮ শতাংশ এবং সৌদি আরবের দশমিক ২ শতাংশ পড়ে গেছে।