কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফখরুলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল দশম সংসদ নির্বাচন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে সেই নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।
কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত। তবে তিনি দেশে নেই। লন্ডনে বসে নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতে দলীয় অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অনেকটা বাধ্য হয়েই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি।
এদিকে আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে গত কয়েক দিন ধরে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিএনপির আগ্রহী মনোনয়নপ্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। লন্ডন থেকে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে এতে যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এরই ভিত্তিতে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। (সোমবার) বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে দলের কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নের চিঠি বিতরণের মাধ্যমে শুরু হয়েছে দলটির চূড়ান্ত প্রার্থীদের মনোনয়নের চিঠি বিতরণ কার্যক্রম। বেলা ৩টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে এ চিঠি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় বেশ কয়েকবার কথা বলা থামিয়ে চোখের পানি মুছতে দেখা যায় তাকে। কাঁদতে থাকায় প্রায় ২ মিনিট তিনি কোনো কথা বলতে পারেননি। তখন গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনস্থলে থাকা দলটির অন্য নেতারাও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
পরে তিনি আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে তাকে ছাড়া আমরা এই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমরা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটা আন্দোলন সৃষ্টি করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও জনগণের ভোটাধিকার ফেরত আনতে চাই।
প্রসঙ্গত, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নিহত হওয়ার পর ১৯৮২ সালে রাজনীতিতে আসেন তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এরপর ১৯৯১ ও ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন।
এছাড়া ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে কিছুদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এরপর ওয়ান/ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলায় চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি দেয়া রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি হন খালেদা জিয়া। সেই থেকে এখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি তিনি। এরই মধ্যে দুর্নীতির আরও এক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন