কালকে রাস্তায় নামলে ইউনূস সাহেব ২৪ ঘণ্টাও থাকতে পারবে না: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা যদি বলি কালকে রাস্তায় নামবো, তাহলে আমার মনে হয় ইউনূস সাহেব (প্রধান উপদেষ্টা) ২৪ ঘণ্টা থাকতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন তাহলে ভবিষ্যৎ কি হবে? এই বিবেচনায় আমরা এই জায়গায়ই সমাপ্ত করতে চাই, আমরা চাই ড. ইউনূসই সফল হোক। ড. ইউনূস সফল মানেই আমাদের জুলাই ও আগস্টের আন্দলনের একটা সফলতা।
রোববার (২৫ মে) দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে ১২ দলীয় জোটের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, আপনার তো সংস্কার করার কোন ক্ষমতা নেই। নারী যদি সুন্দরীও হয়, সে যদি বন্ধ্যা হয়, তার প্রতি আকর্ষণ থাকতে পারে, কিন্তু সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা নাই।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতায় থাকতে মৌলবাদীদের একসাথে করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই মৌলবাদীরাই সারাবিশ্বে নানা অশান্তি তৈরি করছে। সেইসাথে সরকার দুর্নীতিবাজদের না ধরে, তাদের সাথে আঁতাত করছে বলেও অভিযোগ করেন মি. রায়।
জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, যারা নাকি চব্বিশের জুলাইয়ে ১১ দিনের আন্দোলন করে মুকুট চায়, তাদের মুকুট অনেক আগেই জাতি দিয়ে দিছে। আমরাও দিয়ে দিছি।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা
আমরা চাই ড. ইউনূস সফল হোক: গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা যদি বলি যে আগামীকাল রাস্তায় নামবো, তাহলে মনে হয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২৪ ঘণ্টাও থাকতে পারবেন না। কিন্তু আমরা চাই ড. ইউনূস সফল হোক।
রোববার (২৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দেশ বাঁচাও বন্দর বাঁচাও’ আন্দোলনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি একথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা যদি বলি যে আগামীকাল রাস্তায় নামবো, তাহলে মনে হয় ড. ইউনূস ২৪ ঘণ্টাও থাকতে পারবেন না। কিন্তু, আমরা চাই ড. ইউনূস সফল হোক। ওনার সফল মানেই হলো, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সফলতা। আজকে যারা জুলাই আন্দোলনের মুকুট চায়, তাদের তো মুকুট অনেক আগেই দেওয়া হয়েছে। আমরাও দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি এবং মন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত সচিবালয়ে প্রবেশ করিনি। কিন্তু, ওনারা (বৈষম্যবিরোধী নেতারা) এত ঘন ঘন সচিবালয়ে যায় কেন, ডিসি অফিসে যায় কেন। আজকে যে জাতি তাদের মাথায় তুলেছে, সেই মাথা থেকে যদি পায়ের তলায় পড়ে যায় সেটার জন্য কি জাতি দায়ী?
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশে তো দুর্নীতি কমেনি বরং বেড়েছে। কারণ হাসিনার আমলের ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এখনো রয়ে গেছে। এই সরকার তো দুর্নীতি রোধে হাত দেননি! কয়জনকে ধরা হয়েছে? ধরার উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি বিচারও করেনি।
গয়েশ্বর বলেন, আজকে মানুষ বলাবলি করছেন যে, ড. ইউনূসের যত সুবিধা নেওয়া দরকার তাই নেবেন এবং সেজন্য তিনি দেহত্যাগ করলেও পদত্যাগ করবেন না। বন্দর চালানোর জন্য যদি দেশে লোক না থাকে তাহলে বিদেশ থেকে আমরা এক্সপার্ট আনতে পারি। যেমনটি গার্মেন্টস শিল্প উন্নয়নে বিদেশের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ এলিডিপির মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও দেশ বাঁচাও বন্দর বাঁচাও আন্দোলনের মূল সমন্বয়ক শাহাদাত হোসেন সেলিম।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন