কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের দারস্ত পাকিস্তান
ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার দেশটির সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করেছে, যা একসময় মুসলিম অধ্যুষিত ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিল। দিয়েছিল স্বশাসনের অধিকার। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করেই ক্ষান্ত হয়নি মোদি সরকার। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার জন্য লোকসভায় একটি বিলও উত্থাপন করেছে।
এর জের ধরে পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী দুই চিরবৈরী প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
এদিকে, হঠাৎ ভারতের এমন সিদ্ধান্তে জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট, কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মালিহা লোদি। জাতিসংঘে অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গেও কথা বলেছেন পাকিস্তানি এই দূত। তিনি তাদের কাছে ব্যাখ্যা করেছেন ভারত কাশ্মীরে কিভাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুল্যুশন ভঙ্গ করেছে।
পাকিস্তানের অনলাইন ডন এর প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আগস্টের সভাপতি পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত জোয়ানা ওনেকার সঙ্গে সাক্ষাত করে মালিহা লোদি ভারতের কর্মকান্ডকে কাশ্মীদের মর্যাদার গুরুত্বর হেয় বলে বর্ণনা করেছেন। ভারতের বেআইনি ও অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড প্রত্যাহার করার দাবি জানাতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মালিহা লোদি। পাশাপাশি ভারত যাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলুশন মেনে চলে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কয়েক দশক ধরে চলমান জম্মু, কাশ্মীর বিরোধে হস্তক্ষেপ করার যেকোনো বিষয় থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাতে বলা হয়।
এছাড়াও ইসলামাবাদে বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে জাতীয় সুরক্ষা কমিটির (এনএসসি) এক বৈঠকে দিল্লির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে পাক-ভারত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপন ও আগামী ১৪ আগস্ট কাশ্মীরিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আসন্ন স্বাধীনতা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন