কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় বিশেষ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশে কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রণালয়কে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (০৮) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
মন্ত্রিসভা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে অভিভাবক, শিক্ষকদেরকে সম্পৃক্ত করে, তাদেরকে সংশোধনের পরিবেশ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদেরকে দাগি আসামির সঙ্গে না রেখে, তাদের সংশোধনাগারে আলাদা রেখেই কাউন্সিলিং করতে হবে- এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশে সংশোধনাগারের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনাও দিয়েছেন।
এর আগে রোববার (৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে-২০২৪ অনুষ্ঠানে কিশোর গ্যাং বন্ধে জেলা প্রশাসক ও কমিশনারদের কাজ করার আহ্বান জানান
প্রধানমন্ত্রী।
তিনি ওইদিন বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাৎ সমাধানে কিশোরদের গ্রেফতার করে লাভ নেই, গোড়া থেকে সমস্যা সমাধান করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, এখন সবচেয়ে বড় কিছু সমস্যা আছে। এর মধ্যে একটি কিশোর গ্যাং। প্রায়ই এদের উৎপাত দেখা যায়। পড়ালেখা করা ছেলে-মেয়েরা কেন এসবে জড়াবে? এটা সবার দেখতে হবে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকসহ সবাইকে নজরদারি বাড়াতে হবে। ছেলে-মেয়েরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায় কি না, সেটা নিশ্চিত করতে নজরদারি বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, যখন ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যাবে, পড়াশোনা করবে, সেই সময় কিশোর গ্যাং; বিশেষ করে কোভিড অতিমারির সময় কিন্তু এই জিনিসটা সব থেকে বেশি সামনে এসেছে। আমার মনে হয়, প্রত্যেকটা এলাকাভিত্তিক ছেলে-মেয়ে যারা শিক্ষাগ্রহণ করবে, তারা কেন এ ধরনের গ্যাং হবে এবং অসামাজিক কাজে বা ছিনতাই, খুন, ডাকাতি, এসবে লিপ্ত হবে। সে বিষয়টা নজরদারি করা একান্তভাবে জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,আমার মনে হয়, শুধু গ্রেফতার করে, ধরে লাভ নেই। কারণ গ্রেফতার করে জেলে পাঠালে আবার এর থেকে আরও বেশি; যেগুলো গ্যাং থাকে বা যারা বেশি আইন-শৃঙ্খলার ভঙ্গ করল অথবা খুন করে বা কোনো অপরাধ করে অপরাধী, তাদের সঙ্গে মিশে এরা আরও বেশি খারাপ হয়ে যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সেই কারণে গোড়া থেকে আমাদের ধরতে হবে। পরিবার থেকে শুরু করতে হবে বা স্কুল-কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই শুরু করতে হবে। ছেলে-মেয়েরা যেন এই ধরনের পথে কখনো না যেতে পারে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন