কিশোরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ৩নং গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছারিতা ও স্বজনপ্রীতির লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগ, জেলা খাদ্য অধিদপ্তর, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর, RAB -১৪ , জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, হোসেনপুর উপজেলা চেয়ারম্যান, হোসেনপুর থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ পত্র দেয়া হয়েছে।
(১৫ জুন) তারিখে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উল্লেখিত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন এলাকাবাসীর পক্ষে মির্জা জাহাঙ্গীর। তিনি লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, এডভোকেট সাইদুর রহমান চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে পরিষদের ঠিকমতো সময় দেন না। তার নিজ গ্রামে বাড়িঘর থাকা সত্ত্বেও পরিবার নিয়ে শহরে থাকেন। তিনি পরিষদে সময় না দিয়ে কোর্টে সময় দেন বেশি।
২-৩ ঘটিকায় পরিষদে আসেন কোন কোন দিন আসেন না । ঠিকমতো পরিষদে না আসার কারণে সরকারি সেবা বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন অত্র ইউনিয়নের জনগণ। তাছাড়া উপকারভোগীদের মধ্যে বিভিন্ন ভাতা কার্ড ও কর্মসৃজন প্রকল্পে তার লোক দিয়ে হাতিয়ে নেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। সম্প্রতি পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য দেয়া ভিজিএফ এর ১০ কেজি চালে ২/৩ কেজি করে চাল কম দেওয়া হয়েছে।
এবং একই পরিবারের একাধিক কার্ড প্রদান করা হয়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি, ডিজিএফ, টিসিবি কার্ড, কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেয়া, সরকারি সেবা বঞ্চিত এবং হয়রানি শিকার হওয়া সহ সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছারিতা, স্বজনপ্রীতি ও অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিকার চেয়ে উল্লেখিত দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয় অভিযোগ পত্রে।
উল্লেখ্য ২০২১ সালে ২৬ শে ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করেন তিনি।
হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মন্ডল বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যাপারে জানতে গোবিন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন