কী করলে ভারতকে হারানো সম্ভব জানালেন মাশরাফি
দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বাদ দিলে বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় সিরিজ কখনও জিততে পারেনি। এশিয়া কাপসহ বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ফাইনাল খেললেও শিরোপা জেতা হয়নি। এই শূন্যতা বাংলাদেশ দলকে নিশ্চয় পোড়ায়। বাংলাদেশ আরও একবার ফাইনালে উঠেছে। শুক্রবার এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে মাশরাফির দল। তারা কী এবার অধরা শিরোপা জিততে?
বাংলাদেশের ট্রফি না জেতার আফসোস রয়েছে। এই আফসোসটা রয়েছে মাশরাফিরও। তবে তিনি ক্যারিয়ারটাকে একটা ট্রফি দিয়ে মাপতে চান না। ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মাশরাফি। সেখানে তিনি বলে গেলেন, ‘নিজেকে অত সস্তা ভাবি না, একটা ট্রফি দিয়ে নিজেকে বিচার করি না। ক্রিকেট একটা ট্রফির জন্য খেলি না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটা শিরোপা হয়তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনও একদিন হয়তো শিরোপা জিতবে বাংলাদেশ।
এ কারণেই বললাম, তরুণ প্রজন্ম যারা ক্রিকেটে আসতে চাচ্ছে বা এখনও দলে আছে বা বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলছে তারা হয়তো অনেক উজ্জীবিত হবে। এ কারণে একটা ট্রফি দরকার। সেটা কাল না হলে বড় সমস্যা, তা নয়। ব্যক্তি মাশরাফিকে ট্রফি দিয়ে বিচার করবেন কি না সেটা আপনার ব্যাপার, আমি নিজেকে এত সস্তা ভাবি না।’
গত এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি সংস্করণের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফিতেও একই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে। এবার এশিয়া কাপের সুপার ফোরেও বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে। তাহলে ভারতকে হারানোর উপায় কী? মাশরাফি বলছেন ‘জয়ের উপায় মাঠেই তৈরি হয়। সেটা একটা ভালো ইনিংস হতে পারে, ভালো ফিল্ডিং হতে পারে। এটার চেয়ে সহজ উপায় তো নেই। এটার জন্য দরকার মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা, শতভাগ ফিট থাকা।
শারীরিক ধকলটা যে কাটিয়ে ওঠা দরকার ছিল সেটির কথা ভেবে এখন আর লাভ নাই। আমরা এখন মানসিকভাবে শতভাগ প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করছি। আর সত্যি বলতে ভালো কিছু ইনিংসই পার্থক্য গড়ে দেয়। যেমন (গত ম্যাচে) মুশফিক-মিঠুনের জুটিটা। আশা করি এই জুটি এত পরে না হয়ে আরও আগে হবে। এ রকম কিছু হলে সম্ভব (ভারতকে হারানো)।’
গত তিনটি এশিয়া কাপ হয়েছে বাংলাদেশে। এবার আমিরাতের কঠিন কণ্ডিশনে। বাংলাদেশের কাছে এই টুর্নামেন্টটা যেন অন্যভাবে ধরা দিয়েছে। তামিম ইকবাল হাত ভেঙে ফিরে গেছেন। তাঁকে অনুসরণ করে চলে গেছেন সাকিব আল হাসানও। প্রচণ্ড ব্যথা উপেক্ষা করে খেলছেন মুশফিকুর রহীম। মাশরাফির চোট তো আছেই।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলছেন, ‘প্রতি ম্যাচের আলাদা গুরুত্ব থাকে। ত্রিদেশীয় সিরিজে যে ফাইনাল খেলেছি, ২০১২ সালে যে ফাইনাল খেলেছি বা গত এশিয়া কাপের যে ফাইনাল খেলেছি, সবই এক একটা পরিস্থিতি পেরিয়ে খেলেছি। এটাও ধরেন, আরও কঠিন অবস্থা ছিল। যেহেতু একের পর এক খেলোয়াড় হারাচ্ছি। সন্দেহ ছিল মুশফিক খেলবে কিনা, ওভাবেই সে খেলছে এবং ভালো করছে। আসলেই ওদের কাছে অনেক শেখার আছে। তামিম যখন ভাঙা হাত নিয়ে মাঠে নামে, তখনই এশিয়া কাপ জিতে গেছি। এবারের এশিয়া কাপের গুরুত্ব একটু বেশি।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন