ন্যায় বিচার চান আব্দুল হাকিম

কুড়িগ্রাম বনবিভাগে যোগদানপত্রে জালিয়াতি করে ২৭ বছর চাকুরী করেছে আরেকজন

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের গুয়াতিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাকিম।১৯৯৪ সালে বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে সিলেট বন রক্ষক দপ্তরে থানা বনায়ন ও নার্সারী প্রকল্পে মালি পদে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে উপকুলীয় বনবিভাগ চট্রগ্রাম থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারী ৯৭ নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়।সেসময়ে পোস্টম্যান এর কারনে নিয়োগপত্র হাতে পায়নি আব্দুল হাকিম।

পরর্বতী সময়ে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে চাকুরী স্থায়ী করনের রায় হলে আব্দুল হাকিম জানতে পারেন একই গ্রামের আব্দুর রহমান তার পদে চাকুরী করছেন। নিয়োগের কপি উঠানো হলে সেখানে দেখতে পান নামের জায়গায় ঘষামাজা করা এবং পিতার নাম কাটা রয়েছে।

এ বিষয়টি জানার পর কুড়িগ্রাম, রাজারহাট,চট্রগ্রাম ঢাকা সহ বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিলেও কাজ হয়নি। আব্দুল হাকিম বলেন,আমার যৌবনকাল শেষ কিন্তু আমার উপর যে অন্যায় হয়েছে তার বিচার চাই।তিনি বলেন আমি পরীক্ষা দিছি,আব্দুর রহমান কোন পরীক্ষা দেয় নাই,আমার হাইকোর্টের রায় আছে।আমার যোগদান পত্র পরিবর্তন করে ২৭ বছর চাকুরী করেছে। আমার একসাথের লোক মো: রফিকুল ইসলাম ১৪৮ নং নিয়োগ পত্রে চাকুরী করছে।

মহামান্য সূপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের থানা বনায়ন ও নার্সারী প্রকল্পে মালী পদকে স্থায়ী করনের নিমিত্তে প্রক্রিয়ামূলক রিট পিটিশন নং- ২২২৫ অফ ২০১৪ উইথ ৮০৭১ অফ ২০১৪ অব হেয়ার্ড অন ০৪ জুন ২০১৪ জাজমেন্ট অন ০৫ জুন ২০১৪ রিট পিটিশনের ভিত্তিতে কুড়িগ্রামের যে ৩ জনকে রায় দেয়া হয়েছে সেখানে মো: আব্দুল হাকিমের নাম রয়েছে। তারপরও মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আদেশ অমান্য করে আব্দুর রহমান কুড়িগ্রামের রাজারহাটে মালি পদে চাকুরী করেছেন তা কেউ বলতে পারেনা।গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২৪ আব্দুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন। এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সহকারী বন সংরক্ষক বলেন, আব্দুর রহমান দীর্ঘদিন মালি পদে কর্মরত ছিলেন, তবে যোগদানপত্রে কোন গড়মিল করেছেন কিনা তা জানা নেই।বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করলে জানা যাবে।

দীর্ঘদিন ধরে প্রতারিত বঞ্চিত আব্দুল হাকিম তার সাথে ঘটে যাওয়া অমানবিক এই কাজের সুষ্ঠু বিচার চান।