কুড়িগ্রামে পরিবেশ দূষণ রোধে উচ্চ আদালতের রুল জারি
কুড়িগ্রামে অবৈধভাবে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক মিল পরিচালনা ও পরিবেশ দূষণ রোধে এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মিলটি বন্ধে রুল জারি করেছে উচ্চ আদালত।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকার ভেলাকোপা গ্রামে পরিবেশ দূষণ আইন উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে সুফিয়া অটো ফ্লাওয়ার মিলটিতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল সাইফুদ্দিন ইসলাম অ্যাপোলো। মিলটির কর্তৃপক্ষ পরিবেশ অধিদপ্তরকে মোটা অংকের বিনিময়ে পরিবেশ ছাড়পত্র নিয়ে মিল পরিচালনা করে। মিলটি বন্ধে স্থানীয়রা কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর মিল বন্ধে লিখিত অভিযোগ করে। আবাসিক এলাকায় মিলটি চালুর ঘটনায় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় একাধিক সংবাদের পরেও মিলটি বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় উচ্চ আদালতের দারস্থ হয় তারা।
এরই একপর্যায়ে গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি খিজির হায়াত এর দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানিতে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭ এর তপশিল-১ অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় কমলা-খ শ্রেণীর কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার বিধান না থাকায় ‘সুফিয়া অটো ফলোয়ার মিল’কে কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না’-এই মর্মে রুল জারি করেন। এলাকাবাসীর পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী মাসুম বিল্লাহ।
উল্লেখ্য, উচ্চ আদালতে এলাকাবাসীর পক্ষে রিট পিটিশন করেন মোহাম্মদ আলী, নূরনবী মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, আলম মিয়া ও তুফান আলী।
ভেলাকোপা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা রিট আবেদনকারী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পরিবেশ দূষণ রোধে এলাকাবাসী দফায় দফায় অভিযোগ ও মানববন্ধন করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি এবং মহামান্য আদালত আমাদের পক্ষে রুল জারি করেছেন। এজন্য ন্যায় আদালতকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।
এ বিষয়ে সুফিয়া অটো ফ্লাওয়ার মিলের স্বত্বাধিকারী সাইফুদ্দিন ইসলাম অ্যাপোলোকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবি মাসুম বিল্লাহ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-১৯৯৭ এর তপশিল-১ অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় কমলা-খ শ্রেণির বিধানমতে বাণিজ্যিক স্থাপনা বেআইনি হওয়ায় এলাবাবাসীর পক্ষে রুল জারি করেছেন। এর মধ্য দিয়ে উচ্চ আদালতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিমকে একাধিকবার ফোন দিল তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন