কুড়িগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র নাগরিকদের জন্য প্রায়োরিটি চেয়ার
কুড়িগ্রামের আইন—শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক উদ্যোগ সাধারণ মানুষের মাঝে প্রশংসিত হয়েছে।শোকের এ মাসে শোককে শক্তিতে রূপান্তরের অভিপ্রায়ে কুড়িগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে সব অফিস, থানা, ফাড়ি ও তদন্ত কেন্দে্র বসানো হয়েছে প্রয়োরিটি চেয়ার।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে স্থাপিত প্রয়োরিটি চেয়ারে বসে এই কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেন কুড়িগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই সরকার বীরপ্রতীক। কুড়িগ্রাম সার্কেল অফিসে প্রায়োরিটি চেয়ারের সূচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন সরকার এবং কুড়িগ্রামের সদর থানায় প্রায়োরিটি চেয়ারের সূচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মহির উদ্দিন। জাতির বীর সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তিগত,সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাজে প্রায়ই পুলিশের কাছে বা থানায় আসেন।
পুলিশের স্থাপনায় এসে তাঁরা যাতে গর্বিত অনুভব করেন সে জন্যই তাঁদের সম্মানার্থে কুড়িগ্রামের জেলা পুলিশের সব স্থাপনায় এই প্রায়োরিটি চেয়ার সংরক্ষিত থাকবে বলে জানান পুলিশ সুপার জনাব আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম ।
এছাড়াও সিনিয়র সিটিজেন, প্রতিবন্ধী নাগরিক, গর্ভবতী নারী, শিশুসহ প্রাধিকারভুক্ত সম্মানিত নাগরিকরা এই প্রায়োরিটি চেয়ার ব্যবহার করবেন। প্রায়োরিটি চেয়ারের যথাযথ ব্যবহারের জন্য জেলা পুলিশ প্রয়োরিটি চেয়ার প্রটোকল নিশ্চিত করেছে।
জেলা পুলিশ,কুড়িগ্রামের তত্ত্বাবধানে কিছুদিন আগে জেলা ব্যাপী বৃক্ষরোপণ বা গ্রীন কুড়িগ্রাম কর্মসূচীর আওতায় জেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার ফলদ,ওরনামেন্টাল ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়। জেলা পুলিশের এ ধরণের পরিবেশ ও শিক্ষা বান্ধব কর্মসূচী শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। জেলা পুলিশের এ সকল জনবান্ধব কর্মসূচীকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানিয়েছে সচেতন মহল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন