কুড়িগ্রামে শীতের প্রকোপে বিপাকে শ্রমজীবীরা : শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
কুড়িগ্রামে টানা মৃদু শৈতপ্রবাহ বইছে।আজ সোমবার তাপমাত্রা আরো কমে গেছে।সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগি সেলসিয়াস্র যা এ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।শৈত্যপ্রবাহের কারণে শ্রমজীবী মানুষের দুঃসহ অবস্থা বিরাজ করছে । তীব্র ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজে বের হতে হিমসীম খাচ্ছে মানুষ। বিকেল থেকে হিমেল ঠান্ডা হাওয়ার কারণে সন্ধ্যার আগেই ঘরে ফিরছে মানুষ। দিনভর মেঘের আড়ালে ঢাকা পরছে সূর্য। শীতের সাথে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় জবুথুবু হয়ে পড়েছে গোটা জনপদ।সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষজন।
তীব্র ঠান্ডার কারণে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বৃদ্ধি পেয়েছে ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও।প্রতিদিন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে ীশশু ও বয়স্করা।তীব্র শীতের কারণে জেলায় প্রাথমিক নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ১ হাজার ৮ শত ১৫টি বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।
গত ২ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে।আজ
জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।এ অবস্থা আরো ৩দিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র।
জেলায় প্রাথমিক নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ১ হাজার ৮ শত ১৫টি বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে অবস্থান করায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানিয়েছেন পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন জানান, জেলা শৈত্য প্রবাহ থাকলে সব স্কুল বন্ধ থাকবে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে স্কুল খুলবে। এরকম একটি চিটি জেলার ৯ উপজেলায় দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আমরা প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে তাপমাত্রার খোঁজ খবর রাখছি।
এদিকে বোরো বীজতলা ও আলুর ক্ষেত নিয়ে বিপাকে রয়েছে চাষী। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ক্ষতির আশংকা আরো বেড়ে যাচ্ছে।।জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, বর্তমানে জেলায় প্রায় ৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের বীজতলা তৈরি করেছেন কৃষকেরা। তবে এখনও রোপন কাজ অনেক এলাকায় শুরু করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, আপাতত কোন ফসলের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয় ভাবে যদি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। তার পরেও আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে কোন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এদিকে, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ৭০ হাজার কম্বল বিতরন করা হয়েছে। তবেএবছর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সেভাবে এগিয়ে না আসায় শীতার্তদের চাপে রয়েছে জনপ্রতিনিধিরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন