কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে জাপা নেতাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে পদবঞ্চিতদে বিক্ষোভ
কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় পার্টির নবগঠিত আহবায়ক কমিটির আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও সদস্য সচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুস সালামকে অবঞ্চিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে ফুলবাড়ি উপজেলা জাতীয় পার্টির পদ বঞ্চিত নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফুলবাড়ি ডিগ্রী কলেজ মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ শেষে ফুলবাড়ী জিরো পয়েন্টে এসে নবগঠিত জেলা ও উপজেলা আহবায়ক কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সদস্য সচিব আজিজার রহমান মাস্টার।
এতে অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন- সাবেক উপজেলা জাতীয় যুগ্ম আহবায়ক মো. হারুন অর রশিদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও মজিবুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও সদস্য সচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুস সালামের ছবি সম্বলিত ব্যান্যার-ফেস্টুন রাস্তায় পুড়িয়ে দেয়।
সড়ক অবরোধ শেষে পদ বঞ্চিতরা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন-‘ জাতীয় পার্টির হাইব্রিড নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুস সালাম হলেন- সুযোগ-সন্ধানী। ভোট আসলেই তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেন। দল নিয়ে শুরু করেন নানা ষড়যন্ত্র। পাঁচ বছরে যিনি একদিনও কর্মীদের খোঁজ রাখেন না। কেন্দ্র নবগঠিত কমিটিতে জনবিচ্ছিন্ন নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুস সালামকে জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব করায় আমরা তৃণমুল নেতা-কর্মীরা হতাশ। পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টি ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে। ত্যাগী ও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পদ বঞ্চিত করায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতাদের এর খেসারত দিতে হবে। আমরা অবিলম্বে পাতানো কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ি উপজেলা জেলা জতীয় পার্টির সাবেক সদস্য সচিব মো. আজিজার রহমান মাস্টার বলেন, ‘ফুলবাড়ি উপজেলা জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। অথচ এখানকার তৃণমূলের ত্যাগী নেতৃবৃন্দকে উপেক্ষা কমিটি করা রাতারাতি কমিটি হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ষঢ়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে পাতানো কমিটি বাতিল করে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কমিটিতে অন্তভূর্ক্তির করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে মর্মে হুঁশিয়ার করেন।
জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুস সালামকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
এ ব্যাপারে জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক সাবেক এমপি একেএম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, ‘ফুলবাড়ি উপজেলার সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কমিটি দেয়া হয়েছে। সবাইকে কমিটিতে পদ দেয়া সম্ভব নয়। আপনি ফুলবাড়ীর নেতাদের সাথে কথা বলেন। তাহলে সব জানতে পারবেন।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি ও সাবেক জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য আলহাজ্ব পনির উদ্দিন আহমেদ সহ গুরুত্বপূর্ণ তৃণমুল নেতা-কর্মীদের কমিটি থেকে বাদ দিয়ে নবগঠিত কমিটিতে হাইব্রিড নেতাদের অন্তর্ভূক্ত করায় কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট এবং ফুলবাড়ি উপজেলায় দফায় বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ এবং নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দের কুশপুত্তলিকা দাহ করে আসছে ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন