কুড়িগ্রামের ভূমি অধিগ্রহনসহ নানা জটিলতায় গুরত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নির্মাণে অনিশ্চয়তা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ভূমি অধিগ্রহনসহ নানা জটিলতায় গুরত্বপূর্ণ ৫টি প্রতিষ্ঠান নির্মাণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, উপজেলা মডেল মসজিদ, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম, পলিটেকনিক (সরকারি) স্কুল এন্ড কলেজ ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিস।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার
ভিত্তিক প্রকল্পের অধিনে রয়েছে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ, মডেল মসজিদ ও শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের কার্যক্রম। কিন্তু জমি দিতে আগ্রহি না হওয়ায় ও বিভিন্ন জটিলতায় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান গুলো নির্মাণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলাবাসীকে বহুল কাঙ্ক্ষিত ফায়ার সার্ভিসের সেবার সুফল থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।

ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় ১০ বছর ধরে আটকে আছে ভুরুঙ্গামারী ফায়ার স্টেশনের নির্মাণকাজ। ফলে দীর্ঘদিন কুড়িগ্রাম ও রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ে পড়ে আছে এ ষ্টেশনের জন্য বরাদ্দ গাড়ি, জনবল ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ।
কুড়িগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা ফায়ার স্টেশন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। কয়েক দফা জায়গা নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে স্টেশনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু জমির মালিক জমি বিক্রিতে অস্বীকৃতি জানালে ২০১৮ সালের মার্চে বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত পাঠানো হয়।

(২০ জুলাই) মাসে গণপূর্ত বিভাগ নতুন করে জমি নির্বাচন করে মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠায়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে শুরু করা হলে ২০২১ সালের মধ্যে ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করা সম্ভব হবে। কিন্তু ২০২৩ সালেও আলোর মুখ দেখেনি ভূরুঙ্গামারী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনটি।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথাবলে জানাগেছে, উপজেলা মডেল মসজিদের জন্য জায়গা না পাওয়ায় সর্বশেষ উপজেলা পরিষদের ভিতরে বাইতুল আমান জামে মসজিদের স্থলে এটি নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু উপজেলা পরিষদ চত্বরে এরকম স্থাপনা করা যাবেনা মর্মে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। পরে বাস স্ট্যান্ডের পাশে (কলেজ মোড়) প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

ভূরুঙ্গামারী- কুড়িগ্রাম সড়কের আরডিআরএস অফিসের পাশে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এবং জেটিসির পাশে পলিটেকনিক স্কুল ও কলেজের জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবনা পাঠানো হলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না পাওয়ায় আটকে আছে জমি অধিগ্রহণের কাজ। শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম, ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের জায়গা না পাওয়ায় এসকল স্থাপনা নির্মাণেও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, তিন-চার বছরেও উপজেলা সদরের মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য স্থান নির্বাচন না করতে পারাটা দুঃখজনক। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে কেন এত বিলম্ব হচ্ছে? কাদের গাফিলতির জন্য এত দেরি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, মডেল মসজিদের জায়গা পরিবর্তন করে নতুন জায়গা এবং ফায়ার সার্ভিসের জমির পরিমান বাড়িয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।