৪০টি গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বন‍্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বন‍্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। দুধকুমার নদের পানি দু কুল উপচিয়ে ৭টি ইউনিয়নের ৪০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে নদী তীরবর্তী ২০ হাজারেরও অধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। শনিবার সকাল ৯ টায় দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ৪১ সে.মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন‍্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে মানুষ। গবাদিপশুর খাবার সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছে সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়াও কৃষকের কাঁচা মরিচ, ঝিংগা, পটলসহ বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
শনিবার (১৫ জুলাই ) সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নতুন করে কোন গ্রাম প্লাবিত না হলেও পানি বন্দি হয়ে পড়েছেশিলখুড়ি ইউনিয়ন উত্তর ধলডাঙ্গা, কাজিয়ারচর, চরপাড়া, নামাচর, চর উত্তর তিলাই ও শালজোড় গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

তিলাই ইউনিয়নের ঢাকাইয়া পাড়া, বটতলা, বয়জুল্লারচর ও খোঁচাবাড়ি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয় ছড়ার পাড়, মাঝিপাড়া ও নলেয়া গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন ইসলামপুর, ধুলারকুটি, হুচারবালা, আরাজি পাইকডাঙ্গা, শিমুলতলা, খাসেরচর, চরুয়াটারি, কদমতলা, ভেল্লিকুড়ি ও ত্রিমোহনী গ্রাম তলিয়ে গেছে।

পাইকেরছড়া ইউনিয়ের পাইকেরছড়া, আসামপাড়া, ঢাকায়াপাড়া, মাওলানপাড়া, নামাপাড়া, পাইকডাঙ্গা, ছিটপাইকেরছড়া, গছিডাঙ্গা ও বেলদহ গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।

আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের ডারারপার, সাতকুড়ার পাড়, দক্ষিণ বারুইটারি, মধ্য বারুইটারি, হেলোডাঙ্গা, দক্ষিণ পাড়া, কানিপাড়া, পূর্বপাড়, পশ্চিম পাড়, চাঁদনি বাজার, একতা বাজার ও নামচর গ্রাম তলিয়ে গেছে।
বলদিয়া ইউনিয়নের সুতিপুরি ও উত্তর বলদিয়া গ্রাম তলিয়ে গেছে। এতে ২০ হাজারেরও অধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৫ জুলাই ) সকাল ৯ টায় ভূরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ৪১ সে. মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, পানিবন্দি মানুষের জন্য ৫ মে.টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সেগুলো বিতরণ করা হবে।