কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কমতে শুরু করেছে দুধকুমার নদের পানি, এখনো পানিবন্দি হাজারো মানুষ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বন‍্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কমতে শুরু করেছে দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি। গত দুই দিন বৃষ্টি না থাকায় দুধকুমার নদের পানি ৪৬ সে.মিটার কমে রবিবার সকালে বিপদসীমার ৯ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বিপদসীমার উপরে থাকায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী ৪০ টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজারেরও অধিক মানুষ এখনো পানি বন্দি হয়ে আছে ।

সরকারি ভাবে কিছু জরুরী ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এখনো বন‍্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গবাদিপশুর খাবার সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছে সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও কৃষকের কাঁচা মরিচ, ঝিংগা, পটলসহ বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।

রবিবার (১৬ জুলাই ) সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বন‍্যার পানি নামতে শুরু করেছে। কিন্তু এর ক্ষতির চিহ্ন এখনো রয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হলো ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয় ছড়ার পাড়, মাঝিপাড়া ও নলেয়া গ্রাম। চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন ইসলামপুর, ধুলারকুটি, হুচারবালা, আরাজি পাইকডাঙ্গা, শিমুলতলা, খাসেরচর, চরুয়াটারি, কদমতলা, ভেল্লিকুড়ি ও ত্রিমোহনী।
শিলখুড়ি ইউনিয়ন উত্তর ধলডাঙ্গা, কাজিয়ারচর, চরপাড়া, নামাচর, চর উত্তর তিলাই ও শালজোড় গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

তিলাই ইউনিয়নের ঢাকাইয়া পাড়া, বটতলা, বয়জুল্লারচর ও খোঁচাবাড়ি গ্রামে এখনো পানি আছে।
পাইকেরছড়া ইউনিয়ের পাইকেরছড়া, আসামপাড়া, ঢাকায়াপাড়া, মাওলানপাড়া, নামাপাড়া, পাইকডাঙ্গা, ছিটপাইকেরছড়া, গছিডাঙ্গা ও বেলদহ গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।

আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের ডারারপার, সাতকুড়ার পাড়, দক্ষিণ বারুইটারি, মধ্য বারুইটারি, হেলোডাঙ্গা, দক্ষিণ পাড়া, কানিপাড়া, পূর্বপাড়, পশ্চিম পাড়, চাঁদনি বাজার, একতা বাজার ও নামচর।
বলদিয়া ইউনিয়নের সুতিপুরি ও উত্তর বলদিয়া গ্রাম তলিয়ে গেছে।
বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের গনাইরকুটিও চর বলদিয়া গ্রামে এখনো পানি আছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (১৬ জুলাই ) সকাল ৯ টায় ভূরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ৪৬সে.মিটার কমে বিপৎসীমার ৯ সে. মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম জানান, উপজেলার পানিবন্দি মানুষের জন্য দু দফায় ২৬ মে.টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে।