কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারিতে মানুষের আস্থা বাড়ছে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারিতে মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। এতে দিন দিন নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফ নার্সদের আন্তরিকতা আর দক্ষতার কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, ২০২১ সালে হাসপাতালে মোট ১৪৭টি নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। ২০২২ সালে হয়েছে ৩৪৯ টি ও ২০২৩ সালে হয়েছে ৩৬৮টি। আর ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত হাসপাতালে ৩৫টি নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি শীততাপ নিয়ন্ত্রীত আধুনিক নরমাল ডেলিভারি কক্ষ রয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটি সনদ দেওয়া হয়। যার ফলে সহজেই জন্ম নিবন্ধনসহ বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন শিশুর পরিবার।
সিজারিয়ান অপারেশন না করে নরমাল ডেলিভারিতে জনসচেতনতা বাড়াতে নানা কর্মসূচির গ্রহণ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।নরমাল ডেলিভারিতে উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মাঠ পর্যায়ে সভা, সমাবেশ, শিক্ষক, ইমাম, জনপ্রতিনিধি, এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে মা সমাবেশ করে বার্তা পৌঁছানোর নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে ডেলিভারির আগ মুহূর্ত পর্যন্ত চলতে থাকে কাউন্সিলিং আর চেকআপ।
চিকিৎসকরা জানান, নরমাল বা স্বাভাবিক প্রসব মা ও সন্তান উভয়ের জন্যই অনেক ভালো যা প্রসবকালীন মৃত্যু ঝুঁকি কমায়। ডেলিভারির ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মায়েদের হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া সম্ভব। চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে বিনা মূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়। নরমাল ডেলিভারিতে মায়েরা খুব শিগগিরই স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করতে পারেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারি হওয়া গোপালপুর গ্রামের ছালমা বেগম, পাইকেরছড়া গ্রামের আবিদা সুলতানা, বাগভান্ডার গ্রামের ফরিদা পারভিন এর সাথে কথা হয়। তারা জানান, শুরুতে তাদের নরমাল ডেলিভারিতে ভয় লাগলেও নার্স ও চিকিৎসকদের আশ্বাসে হাসপাতালে এসে নিরাপদে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। এতে তাদের অনেক (টাকা) খরচ বেঁচে গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, মাতৃ মৃত্যুর হার কমাতে এবং নরমাল ডেলিভারি নিরাপদ করতে হাসপাতালে দক্ষ মিডওয়াইফ নার্স রয়েছে। যার ফলে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ছে। সকলের সহযোগিতা পেলে স্বাভাবিক সন্তান প্রসব সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন