কুতুবদিয়ায় ফনি’র প্রভাবে বেড়িবাঁধে ভাঙন, তলিয়ে গেল ২০ গ্রাম
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে সামুদ্রিক জোয়ারে বেড়িবাঁধের ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার এই গ্রামগুলো প্লাবিত হয়।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার রায় বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় প্লাবিত এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবারের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজনকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসন থেকে।’
তিনি জানান, শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসন থেকে বেড়িবাঁধ ভাঙন এলাকায় বসবাসরত লোকজনকে মাইকিং করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ইউএনও জানান, মুরালিয়া পাড়া, তাবলের চর ও কাইছার পাড়া বেড়িবাঁধের ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের পশ্চিম তাবলরচর,আনিচের ডেইল, জেলেপাড়া, কাহারপাড়া, বড়ঘোপের দক্ষিণ মুরালিয়া, অমজাখালী,আজম কলোনী, কৈয়ারবিলেরমলমচর,উত্তর কৈয়ারবিল, মহাজনপাড়া, মফজল ডিলার পাড়া, ধুরুং কাইছারপাড়া, বাতিঘর পাড়া এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, আমরা তাবলের চর এলাকার ভাঙন রোধের চেষ্টা করছি। পূর্বে থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭১ পোল্ডারের কুতুবদিয়া দ্বীপে ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙা ছিল। বিগত দুই বছর পূর্বে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণ করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিলেও যথাসময়ে কাজ করেনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন