কুমিল্লার মুরাদনগরে ব্যবসায়ী হত্যায় চার আসামির মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুর ১২টায় এ রায় দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন।এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত কৌঁসুলি রফিকুল ইসলাম।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মো. রফিক মিয়া, দেবিদ্বারের মাধবপুর এলাকার ইউনুস মিয়ার ছেলে মো. নাজমুল শিকদার, ভিংলাবাড়ি এলাকার চান মিয়ার ছেলে মো. মান্নান মিয়া ও রাজু মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া।হত্যাকাণ্ডের শিকার যুবকের নাম ফারুক আহমেদ।
তিনি মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে।পার হওয়ার পরেও রফিক সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। যে কারণে ফারুক প্রায়শই তার কাছে টাকা চাইতেন। একবার রফিকের ভগ্নিপতি মান্নান মিয়ার সামনে টাকা চাইলে ক্ষিপ্ত হয় রফিক। মান্নান ও রফিক পরিকল্পনা করে আরেক ভগ্নিপতি সুমনকে খবর দেয়।
পরে তারা তিনজন পাশের দেবিদ্বার উপজেলার পরিচিত নাজমুল সিকদারকে ভাড়া করে। ৫০ হাজার টাকা চুক্তি করে চারজনে ফারুককে টাকা ফেরত দেবে বলে ডেকে আনে। পরে স্থানীয় একটি মাঠে তাকে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে মরদেহ বালিচাপা দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার ৫ দিন পর অর্ধগলিত মরদেহ পেয়ে পরিবার শনাক্ত করে। এ ঘটনায় রফিকের ভগ্নিপতি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেন।
নিহতের বাবা মো. মোস্তফা বলেন, ১১ বছর পর আমার ছেলে হত্যার বিচার পেয়েছি। আমার তিন ছেলে ছিল। এই ছেলেটা আমার বেশি আদরের ছিল। তাকেই খুন করল আমার আত্মীয়-স্বজনরা। আমি এমন কিছু ভাবিনি। প্রথমে নিখোঁজ জিডি করি। মামলাও অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে করি। তদন্ত কর্মকর্তা না বের করলে আমি বিশ্বাস করতে পারতাম না পাওনা টাকার জন্য বলায় আমার ছেলেকে হত্যা করেছেন তারা। যে উপকার করল তাকেই হত্যা করা হয়েছে। এখন আমার একটাই দাবি, রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক।
আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আশাবাদী হাইকোর্ট রায় বহাল রাখবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন