কুমিল্লার মুরাদনগরে ৩ ছিনতাইকারি ও দুই মাদক কারবারি আটক
অভিনব কৌশলে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় সক্রিয় সংঘবদ্ধ কিছু ছিনতাইকারি চক্র। এর মধ্যে একটি চক্র ছিনতাই করে শুধু ব্যাংকিং আওয়ারে। শুধুমাত্র ব্যাংক গ্রাহকদের টার্গেট করে পিছু নেয় চক্রটি। পরে গায়ের উপর বমিসহ বিভিন্ন নাপাক ময়লা দিয়ে পরিষ্কারের নামে সুযোগ বুঝে হাতিয়ে নেয় টাকার ব্যাগ। মুরাদনগর থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়া এ চক্রের ৩ নারী সদস্য থেকে পুলিশ পেয়েছে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অপরদিকে পৃথক পৃথক অভিযানে ২০ কেজি গাঁজা ও ৭০পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতারদের কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে মুরাদনগর থানা পুলিশ। সোমবার (০৯জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারের ইসলামি ব্যাংকের নিচ থেকে ওই তিন নারী ছিনতাইকারী, সকালে জাহাপুর ইউনিয়নের শুশুন্ডা গ্রাম এলাকায় একটি সিএনজি থেকে গাঁজা ও দুপুরে কামাল্লা ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রাম থেকে মাদক ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
আটক নারী ছিনতাইকারীরা হলো-কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার শহীদনগর এলাকার আতাউর রহমান ড্রাইভারের স্ত্রী আলেয়া বেগম (২৫), দাউদকান্দি থানার গৌরীপুর (পশ্চিম, ভাসমান অবস্থান) এলাকার রাসেলের স্ত্রী নুপুর তাসলিমা (৩২), তিতাস থানার রাশেদ মিয়ার মেয়ে বৈশাখী লিমা (১৯)। মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, উপজেলার মুরাদনগর গ্রামের মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে ডালিম (৩৮) ও একই গ্রামের মৃত খুরশিদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন (৩১)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (০৯জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারের ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ হইতে ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন এক নারী।
পরে ওই নারী কাঁচাবাজারের দিকে যাওয়ার পথে ইসলামি ব্যাংকের নিচে পৌছলে তিনজন নারী জটলা সৃষ্টি করে এবং এবং হাতের বাজারের ব্যাগে থাকা টাকার ব্যাগ নিয়ে যায়। টাকার মালিক নারীটি ওই ছিনতাইকারীদের জড়িয়ে ধরে। পরে পুলিশ এসে ওই ৩ নারী ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করে।
এদিকে সোমবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুরাদনগর থানার এসআই ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ আলমগীরের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ পৃথক দুইটি অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের শুশুন্ডা গ্রামের উত্তর পাড়া বেড়িবাধ রাস্তায় মুরাদনগর হইতে বাখরাবাদ গামী একটি সিএনজি গাড়ীকে থামানোর জন্য সিগনাল দিলে সিএনজি গাড়ীর চালক পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শামীম মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে সিএনজি গাড়িটি ফেলে অজ্ঞাত চালকসহ আরো ১ জন পালিয়ে যায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন