কুমিল্লায় ট্রাক চাপায় নিহত ৬, স্বজনদের আহাজারি
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে মাটিবাহী ড্রাম ট্রাক চাপায় ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালক ও যাত্রীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এসময় ট্রাক ও অটোরিকশার আরও দুজন আরোহী আহত হয়।
পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত একজনের মৃত্যু হয়। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা ৬ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে শুক্রবার সকাল ৬টায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের সিন্ধুরিয়াপাড়া কাটাজাঙ্গাল তুতবাগান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাদকপুর গ্রামের মৃত ছাফর আলীর ছেলে অটোরিকশা চালক মো. জুলহাস মিয়া (৬০), একই গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৫), ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের কংশনগর গ্রামের দৌলত খাঁনের ছেলে মো. জালাল (৪০), দেবিদ্বার উপজেলার ছগুরা গ্রামের মো. ফরিদ মিয়ার ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৩৩) এবং মো. আলমগীর হোসেন (৪২)। নিহত অপরজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার উপপরিদর্শক (এস আই) খোরশেদ আলম জানান, ‘শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ময়নামতি সিন্ধুরিয়াপাড়া কাটাজাঙ্গাল তুতবাগান এলাকায় ক্যান্টনমেন্টগামী একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে পেছন থেকে মাটিবাহী নম্বরবিহীন একটি ড্রাম ট্রাক চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে ট্রাকের নিচে ঢুকে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশা চালক ও যাত্রীসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার সাথে সাথেই ট্রাক চালক পালিয়ে গেছে।’
তিনি আরও জানান, ‘দুর্ঘটনার পরপর ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও অটোরিকশাসহ মরদেহগুলো হাইওয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে। এঘটনায় আহত ২ জনের একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। অপরজনকে ময়নামতি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভিড় জমায়। এসময় স্বজনদের আহাজারিতে থানার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
নিহত সাইফুলের ভাই রকিব জানান, ‘তাঁর ভাই ঢাকা-কুমিল্লা রুটে তিশা বাসের চালক ছিলেন। গাড়ি চালানোর জন্য বাড়ি থেকে কুমিল্লা যাচ্ছিল। পথে দুর্ঘটনায় ঘটে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন সাইফুল।’
বুড়িচং উপজেলার একই এলাকার দুজন নিহত হয়েছে, নিহত দুজনই পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাদকপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ আবু তাহের জানান, নিহত জুলহাস সিএনজি চালক ও জহির স্যানিটারি মিস্ত্রির কাজ করত। একই এলাকায় দুজনের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন