কুয়াকাটায় প্রথমবার ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন পর্যটকরা

নির্মল প্রকৃতির ছোঁয়া আর সাগরের মোহনীয় গর্জনে বিমহিত হয়ে দুর-দুরান্ত থেকে পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় ছুঁেট আসেন বিনোদন প্রেমীরা। তাই বিশ্ব পর্যটন দিবসে এবছর পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন দিতে ব্যতিক্রমি সব আয়োজন করেছে সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজন সহ বর্ণিল সাজে রেলী বের করে বিভিন্ন পর্যটক বান্ধব সংগঠন। পরে শুরু হয় ঘন্টাব্যাপী বিচ ক্লিনিং কর্মসূচি। তবে দুপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাঁতার ও হাঁস ধরা প্রতিযোগীতায় বিনোদনপ্রেমী মানুষের উপস্থিততি ছিল চোখে পড়ার মতো।

পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
এদিন বিকেলে সৈকতের প্রবেশ পথে সড়কে দাঁড়িয়ে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে কুয়াকাটা এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা। এসময় ট্যুরিষ্ট পুলিশ সদস্যরাও সেখানে অংশগ্রহন করেন। এতে ভ্রমনপিপাসুদের হৃদয় খুশিতে দোলা দিয়ে ওঠে।

ঢাকা থেকে আগত পর্যটক মাহামুদ-রিপা দম্পতি বলেন, আমরা গতকাল এসছি। এবারের পর্যটন দিবসে ভিন্নতা রয়েছে। বিশেষ করে গ্রাম বাংলার সাঁতার ও হাঁস ধরা প্রতিযোগীতা দেখে খুবই আনন্দ করেছি। তবে কিকেলে সৈকতে যাওয়ার সময় ফুল শুভেচ্ছা পেয়ে আমরা শিহরিত হয়েছি।

বরিশাল থেকে আগত কলেজ শিক্ষার্থী আজমেরী বলেন, জাষ্ট ওয়াও, আজকের সুন্দর মুহূর্তগুলো স্মৃতির পাতায় থাকবে। আমরা অনেকেই একসাথে আছি, খুবই ভালো লেগেছে। তবে আমরা চাই আজ একদিনই নয়, সব সময়ই যেন পর্যটকদের এভাবেই রিসিভ করা হয়। তাহলে আরো বেশি বেশি মানুষ কুয়াকাটায় আসবে।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন’র সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ জানান, পর্যটন দিবসে এই প্রথম বারের মতো পর্যটকদের ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হয়েছে। আমাদের বিভিন্ন প্রোগ্রাম ছিল। আমরা পর্যটকদের জন্য সেবার মান বাড়াতে বদ্ধপরিকর। চেষ্টা থাকবে তাদের জন্য সব সময়ে ভালো কিছু করার।