কুড়িগ্রামে বিদ্যালয়ের সরকারি বই বিক্রি করলেন অফিস সহকারী

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেনীর প্রায় দুই মণ বই বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে অফিস সহকারী শ্রী দীলীপ চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে।

বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জব্দকৃত বইগুলো স্থানীয় আমিনুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে দেখতে আসেন এবং তার সত্যতা পান।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে বিদ্যালয় গেটের সামনে ভাঙারির দোকানের মালিক আরিফুল ইসলামের কাছে বইগুলো বিক্রি করে অফিস সহকারী শ্রী দিলীপ চন্দ্র রায়। পরে স্থানীয়রা জানতে পেরে বইগুলো উদ্ধার করে বন্দর পাড়ার আমিনুল ইসলাম নামের একজনের বাড়িতে জমা রাখেন তারা।

স্থানীয়রা জানান, রাতের আধাঁরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী জিতেন্দ্র নাথের নির্দেশে আপন ছোট ভাই শ্রী দীলিপ চন্দ্র রায় (অফিস সহকারী) ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৭৮ কেজি বই ১ হাজার ৬৫০ টাকা বিক্রি করে। এ খবর জানতে পরে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলাম লিটনসহ স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ মিলে বইগুলো উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

উক্ত বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম বলেন, এ বছর শেষ, আমি এখনো ক্লাসের ৩টা বই পাই নাই। অথচ আমার পড়ার বই বিক্রি করে খাচ্ছে।
স্থানীয় নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এই স্কুলটিতে এখন লেখাপড়া হয় না। দুর্নীতিতে ভরে গেছে। প্রধান শিক্ষিক গোপনে ম্যানেজিং কমিটি করেছেন। এ কারণেই এক সহকারি শিক্ষক অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করতে এসে শিক্ষা কর্মকর্তা দেখেন অফিস সহকারী বই বিক্রি করে খেয়েছেন।

এব্যাপারে বই বিক্রেতা অফিস সহকারী দীলীপ চন্দ্র রায় বলেন, আমি আসলে বুঝতে পারি নাই। এক বছর হলো চাকরিতে আসার। আমি ভুল করছি। আসলে ৭৮ কেজি না ২২ -২৩ কেজি বই ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।

পাঁচগাছী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। গত বুধবার সহকারী শিক্ষা অফিসার মহোদয় এসেছেন অন্য একটা কাজে। আমি বিদ্যালয়ে এসে শুনলাম স্কুলের অফিস সহকারী বই বিক্রি করেছেন। এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন,আমি ঘটনাস্থলে এসে সব কিছু ঘটনা জানলাম। উর্র্দ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করে প্রতিবেদন দেয়া হবে।