কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পাট চাষে আশাহত কৃষকরা
সোনালী আঁশ খ্যাত পাট চাষ করে আশাহত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার অনেক কৃষক। পাট চাষ করে লাভের আশা তো দূরে থাক হাল চাষের খরচও উঠবে না অনেক কৃষকের। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে।
এবার বৈশাখ- জৈষ্ঠ্য মাসে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জমিতে পানি জমে গেছে। পাটবীজ বপন করা জমিতে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার ফলে অনেক কৃষকের পাট আর বড় হয়নি। কেউ কেউ একাধিকবার পাটবীজ বপন করলেও পানির নীচে সেসব নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলার পশ্চিমছাট গোপালপুর গ্রামের কৃষক সাইফুর রহমান জানান, গত বছর পাটের ভালো দাম পেয়ে সেই আশায় এ বছর দেড় বিঘা জমিতে গম চাষ করি। টানা বৃষ্টিতে ক্ষেতের গম ক্ষেতেই নষ্ট হয়েছে। পরে সেই জমিতে পাট চাষ করি, কিন্তু বৃষ্টিতে সেই পাট আর গজায়নি।
ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, দুই বিঘা জমিতে পাট বুনেছিলাম। জমিতে বৃষ্টির পানি জমেছে। এসময়ে পাট গাছ চার থেকে পাঁচ ফুট লম্বা হওয়ার কথা। কিন্তু সেই পাট গাছ এখনও দেড়- দুই ফুট লম্বাও হয় নাই। সোনালী আঁশের স্বপ্ন পূরণ হবে কি না জানি না।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে মোট ২ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কৃষক ১ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব ) শরিফুল ইসলাম জানান, পাট নষ্ট হয়েছে এমন অভিযোগ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ করেনি। তবে অতিবৃষ্টিতে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সর্বপরি পাটের ভালো ফলনের আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন