কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দিনে প্রচণ্ড গরম রাতে শীত, বাড়ছে মৌসুমী রোগ বালাই

গোটা দেশে গত কয়েকদিনের তীব্র গরমে জনজীবন যখন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে । ঠিক তখনই উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে আবহাওয়ার বৈপরীত্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গোটা উপজেলায় দিনের বেলায় তীব্র গরম আর রাতের বেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে।

দিনের বেলায় তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রিতে ওঠানামা করলেও রাতের বেলায় কম্বল বা কাথা গায়ে ঘুমাতে হচ্ছে। প্রকৃতি এবার বিচিত্র ধরনের আচরণ করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ফলে মৌসুমী রোগ বালাই বেড়েছে।

উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের কৃষক সাহেব আলী জানান, তার সেচ পাম্পে ৬৫ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ হয়েছে। প্রচণ্ড রোদ্র তাপের কারণে জমিতে প্রায় প্রতিদিনই সেচ (পানি) দিতে হয়। কিন্তু রাতে যখন জমিতে সেচের পানি দিতে যাই তখন খুব ঠান্ডা লাগে। জেকেট বা মোটা কাপড় পরে কাজ করতে হয়। কুয়াশায় ধান গাছের ডগায় শিশির বিন্দু জমে থাকে। এতে করে পরনের জামা কাপড় ভিজে যায়।

শনিবার (১৫ এপ্রিল ) সকালে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ গিয়ে দেখা যায় প্রচণ্ড রোদ আর তীব্র গরম উপেক্ষা করে বর্হিবিভাগে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এসময় কথা হয় জান্নাতী বেগম এর সাথে তিনি বলেন সারা দিন তীব্র গরমে বাচ্চারা ঘামে। কিন্তু রাতে আবার ঠান্ডা লাগে। আবহাওয়ার এই অবস্থার কারণে তার দুটি সন্তান সর্দি জ্বরে আক্রান্ত। তাই ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সবুর হোসেন বলেন, এই মুহূর্তে বৃষ্টিপাতের কোনো পূর্বাভাস নেই। জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, তাপমাত্রা বাড়লেও এখনও হাসপাতালে রোগীর চাপ স্বাভাবিক রয়েছে। গরমে শিশুদের বাবা-মাকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বাচ্চাদের বাইরের কোন খাবার খাওয়ানো যাবে না। বাচ্চাদের গা ঘেমে গেলে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। বয়স্কদের কোনো সমস্যা যেমন সর্দি,কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে।