কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে ড্রেন নির্মাণ কাজ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পানি নিস্কাশনের ড্রেনের মধ্যে ৩ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে । এতে করে ড্রেনের ভবিষ্যৎ কার্যকারিতা নিয়ে জনমনে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সাদ্দামমোড় থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত ও একাধিক এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রাখতে ড্রেনটির পূণ নির্মাণ করা হচ্ছে । ড্রেনের পাশে ৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটি আগে থেকে স্থাপন করা ছিলো। ড্রেনটি সম্প্রসারণ করে পুনরায় নির্মাণ করার ফলে বৈদ্যুতিক খুটি ৩টি পড়ায় সেখানে খুঁটি রেখেই ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন থেকে ড্রেন করার জন্য মাটি খুঁড়ে রাস্তার উপরেই রেখে দিয়েছে এতে চলাচলের বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। ফলে মাঝে মধ্যে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, ড্রেনের ভিতরে খুঁটি থাকলে পানি ও ময়লা ভালভাবে নিষ্কাসন হবে না। পরে ময়লা জমে গিয়ে ড্রেনের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই সময় থাকতে এখনো খুঁটিগুলা সড়িয়ে পুনরায় ড্রেন নির্মাণ করা তা না হলে ভবিষ্যৎ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের আওতায় ‘জাইকা প্রকল্পে’র ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ মিটার প্রস্থের এ ড্রেনটি সর্বমোট ১২ লক্ষ ২২ হাজার ৪২৫ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। কাজটি পেয়েছেন “চাঁদনী পেপার হাইজ” নামক প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের ২০ এপ্রিল থেকে ২০ জুনে শেষ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি।
খুঁটির বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চাঁদনী পেপার হাউজ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিদ্যুতের পোল সরানোর দায়িত্ব আমার না ওটা বিদ্যুৎ অফিসের।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম- লালমনিরহাট পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির ভূরুঙ্গামারী জোনাল অফিসের ডিজিএম কাউসার আলম বলেন, খুঁটি সরানোর জন্য ইস্টিমেট দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ইস্টিমেট এর টাকা জমা দিলে আমরা কাজ শুরু করব।
উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান জানান, বিদ্যুতের পোল তিনটি সরাতে প্রায় ২৩ হাজার টাকা লাগবে। বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন