কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু : তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. উদ্দিনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া সদস্য করা হয়েছে কুয়েটের অধ্যাপক ড. খন্দকার মাহবুব, খুলনা জেলা প্রশাসকের একজন প্রতিনিধি ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের একজন প্রতিনিধিকে।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন ভিসির কাছে জমা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাতে এই কমিটি গঠন করা হয় বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঞা এ সংক্রান্ত স্মারক নং- খুপ্রবি/১৮০৭/৫০ বিজ্ঞপ্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িত অপরাধীদের শনাক্তকরণসহ সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করতে সুপারিশসহ রিপোর্ট প্রদান করার জন্য সম্মানিত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে উল্লিখিত বিষয়ে তদন্ত করতে সুপারিশসহ রিপোর্ট ভাইস-চ্যান্সেলর বরাবর দাখিল করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর এ সংক্রান্ত বিষয়ে আগের স্মারক নং- খুপ্রবি/১৭৮৬/০৩ গঠিত তদন্ত কমিটি বাতিল করা হয়েছে।
গত ৩০ নভেম্বর ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর সাক্ষাতের পর ড. সেলিমের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ক্যাম্পাসের বাসার টয়লেটে অচেতন হয়ে পড়ার পর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর লাঞ্ছনার পর গত মঙ্গলবার ওই শিক্ষকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতি সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছে। পাল্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
অভিযোগ উঠেছে, ওই সাক্ষাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাকে লাঞ্ছিত করেন এবং মানসিক নির্যাতন চালান। এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার কমিটির দুই সদস্য দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। ড. সেলিম কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমবেত হন কুয়েটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বেলা সোয়া ১১টায় তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন