কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ৪টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় সাড়ে ৫টার দিকে।
বিএনপির বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা, লন্ডনে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দূতাবাসে হামলার অভিযোগ ও সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয়ে কূটনীতিকদের অবহিত করা হবে।
বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, এ জে মোহাম্মাদ আলী, ড. ইনামুল হক চৌধুরী, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা, বেবী নাজনীন, ফাহিমা মুন্নি ও নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল।
সূত্র আরো জানায়, বিদেশি কূটনীতিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, পাকিস্তান, তুরস্ক, জাপান, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, কানাডা ও চীনের প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া বৈঠকে যোগ দেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এঁদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এ ছাড়া, খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে সম্প্রতি লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটে। সরকারের অভিযোগ, এতে হামলায় বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন