‘কেন ছাত্র নিপীড়ক শিক্ষক নিয়োগ?’
হাবিবুল্লাহ মারুফ : ভাইরাল হয়েছে মাদরাসার শিক্ষক নামের এক হাইওয়ানের ছাত্র নির্যাতন এবং হত্যার ভিডিও।
মাঝে মাঝে প্রকাশ হয় বাসার কাজের ছেলেমেয়ের অমানবিক নির্যাতনের খবর। শিক্ষক নামধারী কিছু রেপিস্ট এর বিকৃত রুচির খবরও মাঝে মাঝে প্রকাশ পায়।
ঘটনাগুলোর অধিকাংশই আজকাল ফেসবুকের মাধ্যমে প্রকাশ হয়। তারপর তাদের ব্যাপারে এ্যাকশন নেওয়া হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে এ সকল ঘটনায় আমাদের এবং আশেপাশের মানুষের কিছুটা হলেও দায় আছে।
যে সকল শিক্ষক ছাত্রদের বেদম প্রহার করে তার ব্যাপারে অত্র মাদরাসার অন্যান্য শিক্ষক ছাত্ররা কিছুটা হলেও জানেন। তারা যদি আগে থেকে এ ব্যাপারে আওয়াজ তুলতেন তাহলে ওই শিশু তালেবে ইলমের এ ধরণের করুণ পরিনতির স্বীকার হতে হত না। শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে লাশ হয়ে তারপর মরোনত্তর বিচার দিয়ে কি হবে? ওই মাদরাসা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। কেন তারা ছাত্র নিপীড়ক শিক্ষক নিয়োগ দিলেন?
ফ্ল্যাট বাড়িতে যখন কোন অমানুষ কাজের ছেলে মেয়েকে নির্যাতন করে তখন আশেপাশের লোকদের সম্ভব না হলেও বাড়িওয়ালা অথবা বাসার ম্যানেজার জানতে পারেন তার বাসায় কোজের ছেলেটা কেমন আছে? তাদের মিনিমাম দায়িত্ব নরপশুদের হাত থেকে বাচ্চাগুলোকে বাঁচান। সে কারণে যে বাসায় গৃহকর্মী নির্যাতন হবে সে বাসার মালিককেও এ ব্যাপারে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাতে করে বাচ্চাদের মেরে ফেলার আগে অন্তত বিচার হবে।
চরিত্রহীন শিক্ষকদের ব্যাপারে স্কুল কলেজ ভার্সিটির প্রধানদের খোঁজ রাখতে হবে। প্রয়োজনে এ সকল ব্যাপারে উপযুক্ত লোককে দায়িত্ব দিতে হবে। অথবা তথ্য গোপন করার শর্তে অভিযোগ দাখিলের সিস্টেম রাখতে হবে। এতে লম্পটদের কুকর্ম যতই নিখুঁতভাবে করুক না কেন ধরা তাকে পড়তেই হবে।
কাজেই কারো সর্বনাশ হওয়ার পর নয়, আগে ব্যাবস্থা নিতে হবে। এবং এটা খুব জরুরী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন