কেমন লাগছে মাশরাফির বডি-ল্যাংঙ্গুয়েজ?
ড্রেসিংরুমে টেলিভিশন নেই, ডাইনিংয়ে প্রতিদিন এক পদের খাবার, অনুশীলনের মাঠে ব্যাটিং অনুশীলন করা যায় না। সবমিলিয়ে আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে চরম ভোগান্তিতে। ‘এমওইউ’ চুক্তিতে থাকা সুবিধাও যখন পাচ্ছে না, তখন বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ মাশরাফি-উইলিয়ামসরা। দেখুন, কেমন লাগছে মাশরাফির বডি-ল্যাংঙ্গুয়েজ?
ব্ল্যাক ক্যাপদের নিয়ে চিন্তিত নয় বাংলাদেশ। নিজেদের সুবিধাটা না পেয়ে বিপাকে তারা। টিম ম্যানেজার জালাল ইউনুসের কন্ঠেও স্পষ্ট বিরক্তি, ‘এখানে অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা অপর্যাপ্ত। চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না অনেক কিছু। শুনেছি তা নিয়ে বিরক্তি আছে নিউজিল্যান্ড শিবিরেও। ’
উদ্বোধনী ম্যাচের একদিন পর বাংলাদেশের অনুশীলন ছিল ডাবলিন থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরের ব্যালব্রিগান ক্রিকেট ক্লাব মাঠে। সেখানে অনুশীলনেও বিপত্তি, যাত্রাপথেও বিপত্তি!
জানা গেছে, শুরুতে বাস ড্রাইভার তাদেরকে নিয়ে যান ইনডোরে। পরে আবার ঘুরে আসে আউটডোরের মাঠে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা গেল, উইকেট ব্যাটিং অনুশীলনের উপযোগী নয়। আর ইনডোরে নেই কোনো নেট বোলার। অর্থাৎ, বোলিং মেশিনই সম্বল। তাই দিয়েই কাজ চালালেন তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকাররা। আউটডোরে ওই উইকেটে দৌড়ালেন মাশরাফি-তাসনকিনসহ বাকি বোলাররা। শেষদিকে ওই মাঠেই হলো ফিল্ডিং অনুশীলন।
শুধু কি তাই! খাবার নিয়েও চরম আপত্তি। প্রতিদিন মিলছে ভাত আর মুরগীর মাংস। অনুশীলনের দিনগুলোতে সেই একই খাবার, একটাই পদ! আন্তর্জাতিক সিরিজে এহেন অবস্থা ক্রিকেটের আর কোনো দেশে হয়তো দেখা যায়নি।
সবকিছু নিয়েই অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড খুব বেশি সুযোগ-সুবিধা দিতে পারবে না, সেটাও জানা ছিল আগে থেকেই। কিন্তু যেটুকু সুবিধা দেওয়ার কথা, সেটুকুও যখন পাচ্ছে না বিরক্তি হচ্ছে তখনই।
এ প্রসঙ্গে জালাল ইউনুস বলেন, ‘এখানে অনুশীলনের ব্যবস্থা খুবই খারাপ। আসার পর থেকেই তো আমি অভিযোগ জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। প্রতিটি সফরের আগেই কিন্তু দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক হয়। সেই স্মারকে অতিথি দলের চাহিদা অনুযায়ী অনুশীলনের জন্য নির্দিষ্ট সুযোগ-সুবিধার কথাও উল্লিখিত থাকে। পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের নিশ্চয়তাও থাকে। তার পরও সেই অনুযায়ী আমাদের চাহিদা মেটানো হচ্ছে না।’
সুযোগ-সুবিধা পরের বিষয়। কিন্তু যে ক্রিকেটে খেলার জন্য এতোদূর আসা, সেটার প্রস্তুতিই যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে আক্ষেপ থাকবেই। এরই মধ্যে অনুশীলনের জন্য একদিন মূল মাঠ বরাদ্দ চেয়েছে বাংলাদেশ। জালাল ইউনুসের ভাষায়, ‘সুযোগ-সুবিধা না দিতে পারুক, মাঠ তো দিতে পারবে। সোমবারের জন্য আইরিশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আমরা সেটিই চেয়েছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন