কোচিংয়ে জড়িত শিক্ষকদের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ
যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ক্লাসের পড়া ফাঁকি দিয়ে কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে সুবিধা গ্রহণ করে থাকেন, তাদের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
একইসঙ্গে দুর্বল ভবন চিহ্নিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিত্যক্ত ভবন অপসারণের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে কমিটি।
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. আফছারুল আমীন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মো. আব্দুল কুদ্দুস, ফজলে হোসেন বাদশা, আবদুস সোবহান মিয়া, গোলাম কিবরিয়া টিপু বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মো. আব্দুল কুদ্দুস এমপি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের পরিচালিত কোচিং সেন্টার নিরুৎসাহিত করতে চাচ্ছি। শিক্ষকরা এসব কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে থাকেন।
ফলে দেখা যায়, তারা ক্লাসে পড়ানোর চেয়ে কোচিং সেন্টারে পড়াতে বেশি উৎসাহী হন। সেজন্য আমরা বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হতে বলেছি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, যে সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ক্লাসের পড়া ফাঁকি দিয়ে কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে সুবিধা গ্রহণ করে থাকেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কারিগরি শিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে প্রতি উপজেলায় অন্তত: একটি করে টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপনের ক্ষেত্রে শিক্ষক সল্পতা নিরসনে শূন্য পদে নিয়োগের কার্যক্রম যথা শিগগিরই শুরু হবে। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা কারিকুলামের একটি খসড়া প্রস্তুতের কার্যক্রম চলছে।
বৈঠকে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন